/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/16/swastika-2025-09-16-16-44-33.jpg)
কেন বিরক্ত স্বস্তিকা?
কুমোরটুলিতে কোনওভাবে পৌঁছলে এখন কী দেখা যাবে? এমন এক দৃশ্য যা নিয়ে ভরপুর আলোচনা। বলা উচিৎ বিতর্ক। পুজো আসছে। একসময় শহরের এই এলাকায় পুজো এলেই থাকত ব্যাস্ততা। মাটির প্রলেপ পড়ত কাঠামোয়। এবং দেবী দুর্গা সেজে উঠতেন নতুন সাজে। তবে, বর্তমানে সেই কুমোরটুলির ব্যস্ততা যখন তুঙ্গে, ঠিক তখন সেখানে এমন এক দলের ভিড়, যাদের উপস্থিতি রীতিমতো বিরক্ত করছে মৃৎশিল্পীদের।
বছরের এই নির্দিষ্ট সময় তাদের মূর্তি বানানোর সঙ্গে সঙ্গে অর্থ রোজগারের সময়। দেশে বিদেশে নানা জায়গায় এই সময় কুমোরটুলি থেকে মাতৃমূর্তি পাঠানো হয়। তবে, ভ্লগারদের উপস্থিতিতে তাঁরা এতটাই অতিষ্ঠ যে হাতাহাতির দৃশ্য পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে সেখানে। শিল্পীরা বিরক্তির চোটে তেড়েফুঁড়ে উঠছেন। বেশ কিছু ভিডিও ভাইরাল সমাজ মাধ্যমের পাতায়। আর এবার এই নিয়েই মুখ খুলেছেন বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়।
তিনি যে সমাজ মাধ্যমে বেজায় সক্রিয়, সেটি তাঁর পোস্ট দেখলেই বোঝা যায়। সাধারণত, যে কোনো বিষয়েই তিনি নানা ধরণের মন্তব্য রেখে চলেন। মাঝে মধ্যে তো নিজেকে নিয়ে খোরাক করেন। তবে, এবার কুমোরটুলির অস্বস্তি নিয়েও তিনি স্পষ্ট মন্তব্য রাখলেন। যে হারে সেখানে ক্রিয়েটরদের আনাগোনা বেড়েছে, তাতে এবার পুজোয় ঠাকুর বানানো শেষ হবে কিনা, সেই নিয়েই সন্দেহ রয়েছে তাঁর।
মাত্র ৬ বছরে সব শেষ! অকালে চলে গেলেন জনপ্রিয় উমর..
স্বস্তিকা সমাজ মাধ্যমে লিখছেন, "এই বছর কুমোরটুলিতে ঠাকুর গড়া শেষ হলে হয়। কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জ্বালায় নাকি মৃৎশিল্পীদের নাজেহাল অবস্থা।" শুধু যে ঠাকুরের ছবি তুলছেন তাঁরা এমনটা না, বরং নিজেদের ছবি তুলতে মেয়েরা দলে দলে শাড়ি পড়ে হাজির হচ্ছেন সেখানে। এছাড়াও দেখা যাচ্ছে তিনি একটি দাবি জানিয়েছেন প্রকাশ্যেই। তাঁদের সত্যিই শাস্তি দাবি করলেন তিনি?
স্বস্তিকা বলছেন, হা ঈশ্বর! এদের বোধ দাও, বুদ্ধি দাও এবং ফোনগুলোকে তৃতীয়া অবধি অকেজো করে দাও। এর সঙ্গে সঙ্গেই একটি প্রণামের ইমোজি জূরেছেন তিনি। ফলে এই ঘটনায় যে তিনিও একটু হলেও অস্বস্তিতে, সেকথা জানালেন প্রকাশ্যে। প্রসঙ্গে, গতবছর পুজোয় তাঁর ছবি রিলিজের কারণেই দারুণ ব্যস্ততা ছিল তুঙ্গে। তবে, আর যাই হোক, পুজোয় স্বস্তিকার সাজ যে সবসময় নজর কাড়ে, সেকথা কিন্তু বলতেই হয়।