মেয়েরা নিজেরা না জাগলে... 'আবার প্রলয়ে'র অনিমেষ দত্ত তোলপাড় ফেলে দিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। 'প্রলয়ে' বেশ সামান্য পরিসরে তাঁকে দেখা গেলেও এবার সুন্দরবনের অসহায় মেয়েদের বাঘ হয়ে ফিরেছেন তিনি। কিন্তু, বাস্তবে মেয়েদের মসিহা নন বরং মেয়েদের আরও জোরালো আওয়াজ তোলার কথা বললেন তিনি।
Advertisment
'আবার প্রলয়ে'র অনিমেষ দত্তর আদৌ কতটা প্রয়োজন এই সমাজে? বিশেষ করে, মেয়েদের জন্য? অনুষ্ঠানে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার সামনেই তিনি জানালেন, মেয়েদের নিজস্ব বল না বাড়লে আর কিছু সম্ভব না। নিজে এক কন্যাসন্তানের বাবা তিনি। কিন্তু মেয়েদের সুরক্ষা তাঁরা নিজেরাই করতে পারে বলেই মনে করেন শ্বাশ্বত। একসময়, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, নিজের মনের ঝাল মেটাতে চরিত্র অভিনয় করার সময় দুটো গুলি বেশি চালান তিনি। সেই প্রশ্নের রেশ টেনেই শ্বাশ্বত বললেন...
"প্রথম কথা আমি গুলিতে বেশি বিশ্বাস করি না। আমি যেটাতে বিশ্বাস করি সেটা হল, হাত আর লাথ। এই দুটি দিয়েই সবথেকে বেশি শত্রুকে ঘায়েল করা সম্ভব। কিন্তু, আমার কথা একটা জায়গাতেই, মেয়েদের জন্য আমাদের অর্থাৎ ছেলেদের প্রয়োজন নেই। মেয়েদের সুরক্ষা তাঁরা নিজেরা করতে পারে। এবং যতক্ষণ না পর্যন্ত মেয়েরা জেগে উঠবে ততক্ষণ, ওদের আসলেই সুরক্ষা করা সম্ভব না। প্রতিটা মেয়েদের মনের মধ্যে একটা করে অনিমেষ দত্ত জন্মানো খুব দরকার। নাহলে মুশকিল..."
প্রথম ছবিতে, দ্বিতীয় পর্যায়ে একটু খানি চরিত্র। তাতেই, হাততালি সিটিতে ভয়ঙ্কর অবস্থা দেখা গিয়েছিল হল জুড়ে। শুধু তাই নয়, শ্বাশ্বতর কথায় উঠে এল, 'প্রলয়ে'র দুই ভিলেন সুপ্রিয় দত্ত এবং রুদ্রনীল ঘোষের কথা। কিন্তু, এই গল্প একেবারেই ভিন্ন। কোনও ইন্টারলিংক নেই।
এদিকে, নিজের প্রথম সিরিজ নিয়ে উত্তেজিত রাজ চক্রবর্তী নিজেও। ম্যাডাম প্রোডিউসার, তাঁর ঘরণী হলেও শুভশ্রীর সঙ্গ পেয়েছে প্রতি মুহূর্তে। শুধু তাই নয়, এতদিন পর প্রায় দশবছর পর রাজ ফিরেছেন প্রলয় শুরু করতে। রিলিজের অপেক্ষায় রয়েছেন সকলে।