Advertisment

উলের বুনটে আত্মবিশ্বাস জড়িয়ে সাধারণ মেয়ের গল্প বলে 'সোয়েটার'

নারীকেন্দ্রিক ছবি বাংলায় তৈরি হচ্ছে এটা অত্যন্ত সুখবর, তবে বলিউডের জনপ্রিয়তার কারণে কিছু জিনিস দর্শক মননে গেঁথে যায়, সেগুলোর প্রতি আর একটু যত্নবান হওয়াই যেত। তবে মানতে হয়, টুকুর কাহিনীতে ডুব দিতে দ্বিধা থাকবে না।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
sweater

Film : সোয়েটার

Advertisment

Cast : ইশা সাহা, শ্রীলেখা মিত্র, জুন মালিয়া, খরাজ মুখোপাধ্যায়, সিদ্ধার্থ (সিধু), ফরজান ইমরোজ, সৌরভ দাস, অনুরাধা মুখোপাধ্যায়

Director : শিলাদিত্য মৌলিক

Rating : ৩/৫

একের পর এক সম্বন্ধ ভেঙে যায়। বড় মেয়ের বিয়ে হলে পরে তো ছোটোটা আছে। কিন্তু মেয়ের বিয়ে দেওয়া তো এত সহজ নয়। তার ওপরে, "কিচ্ছু পারিস না, কোনও গুণ নেই। না পারিস রান্না, না পড়াশোনায় ভাল যে চাকরি করতে পারবি। দেখতেও ওই!" এসব তো আছেই। কারণ সে ঠিক করে চা'টাও বানাতে পারে না। এমনই এক মেয়ে টুকু। এই টুকুই পরে 'সোয়েটার' বুনতে শেখে। তাও অদ্ভুত শর্তের কারণে। একটা সাদা মাটা গল্প ফেঁদেছেন পরিচালক শিলাদিত্য মৌলিক।

শুধু যে বাবা-মায়ের মাথাব্যথার কারণ টুকু তা কিন্তু নয়, প্রমের সম্পর্কেও সে অবহেলার শিকার। তথাকথিত প্রেমিকের অঙ্গুলী হেলনে দিন কাটে তার। কিন্তু কতদিন? এরই মধ্যে কলকাতার এক বনেদি পরিবার থেকে দেখতে আসে টুকুকে। পায়ে পায়ে হেঁটে আসে শর্ত। সোয়েটার বানাতে জানলে তবেই সে পুত্রবধূ হওয়ার পরীক্ষায় পাশ করবে এবং শুধু বানাতে জানলে চলবে না শাশুড়ির তুল্যমূল্য হয়ে উঠতে হবে। এরপরেই শুরু হয় টুকুর নিজের জার্নি।

আরও পড়ুন, ইশা মানেই জনপ্রিয় গান, ‘সোয়েটার’ তো তাই বলছে

নতুন পরিচালক হিসাবে শিলাদিত্য মৌলিকের চেষ্টার প্রশংসা করতেই হবে। যেভাবে তিনি ছবিটা তৈরি করেছেন তা দর্শক হিসাবে আপনাকে শান্তি দেবে। দার্জিলিং-এর নিসর্গ এত ভাল করে খুব কম দেখা গিয়েছে বাংলা ছবিতে। ছবির ফ্রেম, কালার ট্রিটমেন্ট মনে ধরে। গান যে রান্নায় ফোঁড়নের কাজ করেছে একথাও বলা নিষ্প্রয়োজন। অভিনয়ে সাধারণ মেয়েকে পর্দায় কীভাবে দেখাতে হয় তাতে বেশ দক্ষ ইশা। নিজের নিজের জায়গায় ভাল খরাজ, সৌরভ, ফারহান, অনুরাধারা। তবে অভিনয়ে আলাদা করে উল্লেখ করতে হয় শ্রীলেখা ও সিধুকে।

কিন্তু এতকিছু ভালর মাঝে চোখেও লেগেছে কিছু বিষয়। টুকু বোকা-সরল একটি মেয়ে কিন্তু ছোট বোন তুলনায় অনেক স্মার্ট, সুতরাং একটু হলেও বৈষম্য চলেই আসে মধ্যবিত্ত বাবা-মায়ের ব্যবহারে। সেটা কোথাও বোঝানোর প্রয়োজন ছিল। টুকুর অসহায়তা, দুঃখ কেমন যেন সবার টেনশনের তলায় চাপা পড়ে গিয়েছে। সেটাও আরও স্পষ্ট করলে ভাল হত। প্রথমার্ধে চরিত্রদের প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে সংলাপের আধিক্যও বিড়ম্বনা বাড়িয়ে তুলেছে। তবে আরও কিছু সূক্ষ জায়গা পরিচালক তুলে ধরেছেন যে কারণে ছবি দ্বিতীয়ার্ধে বেশ ভাল। নারীকেন্দ্রিক ছবি বাংলায় তৈরি হচ্ছে এটা অত্যন্ত সুখবর, তবে বলিউডের জনপ্রিয়তার কারণে কিছু জিনিস দর্শক মননে গেঁথে যায়, সেগুলোর প্রতি আর একটু যত্নবান হওয়াই যেত। তবে মানতে হয়, টুকুর কাহিনীতে ডুব দিতে দ্বিধা থাকবে না। আত্মবিশ্বাসে ভর করে এক  নিতান্তই সাধারণ মেয়ের মৌলিক গল্পই বললেন শিলাদিত্য।

tollywood Bengali Cinema Bangla Movie Review
Advertisment