Advertisment
Presenting Partner
Desktop GIF

'বারণ' সত্ত্বেও রণজয়ের গানের প্রেমে পড়েছেন সকলে

শিল দা (শিলাদিত্য মৌলিক) বাড়িতে এসেছিল একদিন, জ্যামিং করে থাকি আমরা। সেদিন এই গানটা শোনাই। শুনেই বলেছিলেন, ''আমি ছাড়া গানটা কাউকে দিবি না''। প্রায় কেড়ে নেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Sweater

রণজয় ভট্টাচার্যের কম্পোজ করা গান 'প্রেমে পড়া বারণ'

প্রেমে পড়তে বারবার বারণ করা হলেও কে শুনছে কার কথা! লগ্নজিতার কণ্ঠে নতুন গানের মোহ ছাড়তে পারছেন না শ্রোতারা। বসন্তের প্রাক্কালে হোয়্যাটসঅ্যাপ স্ট্যাটাস, ফেসবুকে ছবির ক্যাপশনে গানের লাইন উদ্ধৃত করার হিড়িক পড়ে গিয়েছে, বলা যায় লুপে শুনে চলেছেন রণজয় ভট্টাচার্যের রচিত গান 'প্রেমে পড়া বারণ'। 'সোয়েটার' ছবির সঙ্গীত পরিচালক রণজয়। প্রথম গানেই বাজিমাৎ করেছেন। তাই ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা খোঁজ নিল তাঁর, জানল নেপথ্য কাহিনী।

Advertisment

প্রথম গানেই তো ভাইরাল! একগাল হেসে রণজয়ের জবাব, "আপাতত তো মানুষ ভীষণই আপ্লুত।" গানটা তৈরির গল্পটা একটু বলবেন? "গানটা কিন্তু সোয়েটারের জন্য বানানো নয়। অনেক আগে বানিয়েছিলাম। লিখে সুর করেছিলাম, পরে সুরটা বদলাই। শিলদা (শিলাদিত্য মৌলিক) বাড়িতে এসেছিল একদিন, জ্যামিং করে থাকি আমরা মাঝেমাঝে। সেদিন এই গানটা শোনাই। শুনেই বলেছিলেন, 'আমাকে ছাড়া গানটা কাউকে দিবি না'। প্রায় কেড়েই নেন।"

সঙ্গীত পরিচালক আরও বলেন, "আপনারা কিন্তু 'প্রেমে পড়া বারণ'-এর ফাইনাল ভার্সনটা শুনছেন না। আসলে লগ্নজিতাকে দিয়ে গানটার স্ক্র্যাচ গাওয়াই প্রথমে। কিন্তু সেটাই ও এত ভাল গেয়েছিল যে আর রেকর্ড করার প্রয়োজন পড়েনি।" সত্যি কথা বলতে, প্রথম গানেই এত আলোড়ন পড়ে যাবে, ভাবেন নি রণজয়। তাঁর গান ভাইরাল হবে, সেটা তাঁর কাছে এখনও অভূতপূর্ব। তবে ছবিতে তাঁর কম্পোজ করা চারটি গান রয়েছে, যেগুলির মধ্যে আরও একটা গান রয়েছে যা 'সোয়েটার'-এর জন্য তৈরি করা হয় নি। "শুনিয়েছিলাম, ছবির পরিস্থিতির সঙ্গে মিলে যাওয়ায় এটাও হাতছাড়া হল," দ্বিতীয় গান প্রসঙ্গে বলে আর একপ্রস্থ হাসলেন রণজয়।

আরও পড়ুন, উপলক্ষ্য করে না হলেও নারী দিবসেই সামনে এল চূর্ণীর ‘তারিখ’

অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় ছবির একটা গান তৈরি করেছেন। তবে এরপর শ্রোতারা শুধু রণজয়ের কম্পোজিশন নয়, কণ্ঠও শুনতে পাবেন। ছবিতে ২০১৩-তে সুর করা নিজের একটা গান গেয়েছেন তিনি। বললেন, "প্রযোজকরা (অনিমেষ ও সৌম্য) আমার বাড়িতে এসেছিলেন, তখন গানটা শোনাই। সে এক কাণ্ড! শিলদা পকেট থেকে ১০০ টাকার নোট বের করে গানটা লক করেন। এই ভাবে তৃতীয় গানটা চলে এল।" তবে একটা গান ছবির জন্যই তৈরি করেছিলেন, এছাড়াও একটা রবীন্দ্রসঙ্গীত শোনা যাবে।

গান-বাজনায় যে বেশ করিতকর্মা ইঞ্জিনিয়ার রণজয়, সেকথা প্রত্যেকেই এতদিনে বুঝে গিয়েছেন। অনুরাগ বসুর সঙ্গে 'স্টোরিজ বাই রবীন্দ্রনাথ টেগোর', এবং হিন্দিতে 'ভূতু' ধারাবাহিকের টাইটেল ট্র্যাক তাঁরই তৈরি। 'প্রীতমদার' (সঙ্গীত পরিচালক প্রীতম চক্রবর্তী) 'JAM 8'-এর বেশ কিছু কাজও রয়েছে রণজয়ের ঝুলিতে। ২০১৮-তে কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা ও বাংলাদেশ বইমেলার থিম সঙও তাঁরই কীর্তি। তবে রণজয়ের মত, "গান জনপ্রিয় হওয়াটা কারও হাতে থাকে না। এই গানের সরলতা মানুষকে টানতে পেরেছে। প্রেমের আবেগকে প্রত্যেকে ধরে রাখেন তো, সেই ছোঁয়াটা গানের মধ্যে পেয়েছেন।"

tollywood Bengali Cinema
Advertisment