/indian-express-bangla/media/media_files/2025/06/17/tLRwVYrIs6CdenR4uNIZ.jpg)
যা যা শোনা গেল প্রিয়াঙ্কাকে নিয়ে...
ভারতীয় তারকাদের জন্য বলিউড থেকে হলিউডে সফলভাবে যাত্রা করা সহজ নয়- ভাষা, সাংস্কৃতিক ভাবনা, এবং গল্প বলার ধরন সবই বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তবুও মিন্ডি কালিং ও প্রিয়াঙ্কা চোপড়া যাঁরা আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজেদের জায়গা তৈরি করেছেন। তবে অভিনেত্রী শ্বেতা কেসওয়ানি মনে করেন, এই দু’জনের অবদান সমান নয়। তাঁর মতে, দক্ষিণ এশীয় অভিনেতাদের সুযোগ তৈরিতে মিন্ডি কালিং, প্রিয়াঙ্কার তুলনায় অনেক বেশি ভূমিকা রাখছেন।
‘কাহানি ঘর ঘর কি’ এবং মার্কিন শো ‘ল অ্যান্ড অর্ডার’-এ অভিনয় করা শ্বেতা সম্প্রতি ইন্ডিয়া টুডের সঙ্গে নানা গল্প শেয়ার করেন। তিনি বলেন, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া নিঃসন্দেহে পথপ্রদর্শক, তার সাফল্য অনস্বীকার্য, কিন্তু এই সাফল্য মূলত তাঁর নিজের জন্যই কাজ করেছে। শ্বেতার ভাষায়, "প্রিয়াঙ্কা যা অর্জন করেছেন তা সত্যিই অসাধারণ- এ নিয়ে দ্বিমত নেই। কিন্তু তিনি মিন্ডি কালিং নন। তিনি অন্য দক্ষিণ এশীয় শিল্পীদের সাহায্য করছেন না। তিনি নিজের ক্যারিয়ারেই মনোযোগী। সবকিছুই তাঁর নিজের জন্য। অন্যদিকে মিন্ডি কালিং অন্যদের জন্য লেখেন, প্রযোজনা করেন এবং নতুন দক্ষিণ এশীয় মুখদের সুযোগ করে দেন, যা নারীদের জন্য অত্যন্ত কঠিন।"
Dharmendra: গুরুতর অসুস্থ ধর্মেন্দ্র! হাসপাতালে ভর্তি হলেন কিংবদন্তি?
হলিউডের অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি আরও বলেন, সিনেমা-শিল্পের মধ্যেই কিছু শক্তিশালী গোষ্ঠী রয়েছে, যারা অন্যদের জন্য সিদ্ধান্ত ও সুযোগ নিয়ন্ত্রণ করে। শ্বেতা জানান, তিনি কখনও সেই চক্রের অংশ ছিলেন না, কারণ দীর্ঘসময় তিনি পরিবার ও সন্তানকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। "যেখানে যেখানে কাজ আছে সেখানেই চক্র আছে। কিছু মানুষ নির্দিষ্ট লোককে সুযোগ দেয়, বারবার ডাকেন, এভাবেই নেটওয়ার্ক তৈরি হয়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, আমি কোনো দক্ষিণ এশীয় নেটওয়ার্কের অংশ নই। এখন আমার সন্তান বড় হয়েছে, তার বয়স ১২। ফলে এখন আমার জন্য কাজ করা সহজ হচ্ছে,” বলেন তিনি।
শ্বেতার বক্তব্যে স্পষ্ট- হলিউডে প্রতিভা থাকলেই যথেষ্ট নয়; নেটওয়ার্কিং, সমর্থন ব্যবস্থা এবং অন্যকে তুলে ধরার মানসিকতাও দরকার সফলতার পথ তৈরি করতে।
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)

Follow Us