মনের মানুষকে বিয়ে করার আনন্দ বোধহয় এটাই। শ্বেতা এবং রুবেলের বিয়ে বহুদিন ধরেই টক অফ দ্যা টাউন। দুই প্রেমিক যুগল কবে বিয়ে করছেন, এই নিয়েই প্রশ্ন ছিল। আর যেদিন থেকে বিয়ে ঠিক হয়েছে, সেদিন থেকে তাঁরা বিয়ের তারিখ গোপন রেখেছিলেন। তবে, আজ সেদিন। বিয়ের পিঁড়িতে বসে পড়েছেন শ্বেতা এবং রুবেল।
বহুবার, বিয়ের কনে সেজেছেন। কিন্তু এভাবে এত সুন্দর যেন শ্বেতাকে আগে লাগেনি। পরনে লাল রঙের শাড়ি। সোনার গয়না এবং একদম সাবেকি সাজে ধরা দিলেন তিনি। রুবেল বিয়ে করতে চলে এসেছেন তাঁকে। আর সেই অনুভূতি যে কেমন যেন ভাবতেও মন কেমন করছে শ্বেতার। অভিনেত্রীর দেখা গেল নতুন কনে সেজে বর আসার আনন্দে দিব্যি নাচছেন। এতবছর একসঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে থেকেছেন, আজ থেকে নতুন পথচলা শুরু।
রুবেল এবং শ্বেতার বিয়ে হবে বৈদিক মতে। শুরু হয়েছে মন্ত্রপরা। অভিনেত্রীকে দেখা গেল বর আসছেন দেখে যেমন নাচছেন, তেমনই শুরুতে তাঁকে এও বলতে শোনা গেল, আমার না ভয় লাগছে। তারপর, সব ভুলে কোমর দোলালেন। তাও কোন গানে? আপামর বাঙালি বিয়েবাড়ির পছন্দের গান চোখ তুলে দেখো না কে এসেছে...', প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এর গানে কোমর দোলালেন নতুন কনে। এখানেই শেষ না। হয়ে গেল সিঁদুরদান।
বৈদিক নিয়ম মেনেই একে অপরকে সিঁদুর পড়িয়ে দিলেন। একে অপরের সঙ্গে বাস্তবে বিয়ে সারলেন। দুজনের হাসি ছিল দেখার মত। তখন, চারিদিকে শঙ্খধ্বনি, উলু এবং গানে মুখরিত চারিদিক। প্রথমে শ্বেতা সিঁদুরের তিলক পরিয়ে দিলেন রুবেলকে। এরপর, রুবেল সিঁথি রাঙিয়ে দিলেন শ্বেতার।
উল্লেখ্য, সকাল থেকেই তাঁদের গায়ে হলুদের নানা দৃশ্য প্রকাশ্যে এসেছিল। নেচে গেয়ে ফাটিয়ে আনন্দ করেছেন দুজনেই। তাঁর সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরেই তাঁদের মেহেন্দি থেকে আইবুড়োভাত সবই এসেছিল নজরে। পরিবার থেকে বন্ধু-বান্ধব এমনকি কাছের মানুষদের নিয়েই উৎসবে মেতেছিলেন তাঁরা। আর আজ সেই দিন, যেদিন পূর্ণতা পেল সম্পর্ক।