saif Ali Khan-Taimur: দিনটা ছিল ১৫ জানুয়ারি, বুধবার মধ্যরাত। আচমকা সইফিনার ফ্ল্যাটে ঢুকে দুষ্কৃতীর হামলায় জখম হন ছোটে নবাব। পরিবারকে বাঁচাতে দুষ্কৃতীর সঙ্গে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে লড়াই করেন। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সইফের সঙ্গে কেন সেই দিন ছোট্ট তৈমুর ছিল সেই নিয়ে উঠেছিল নানা প্রশ্ন। ঘটনার পর প্রথমবার সংবাদমাধ্যমে মুখ খুললেন সইফ। বম্বে টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সব খোলসা করলেন অভিনেতা। সেই সঙ্গে এটাও বলেন, ৬ বছরের তৈমুর সইফকে প্রশ্ন করেছিল,'তুমি মরে যাবে?' উত্তরে ড্যাডি কুল সইফ আলি খান বলেছিলেন, 'না'?
ঘটনার সময় করিনার সঙ্গে ঠিক কী কথপকথোন হয়েছিল সইফের? 'আমি বলেছিলাম আমার একটা ব্যথা অনুভব হচ্ছে। মনে হচ্ছে পিঠে কিছু একটা হয়েছে। ও বলল, তোমার এখুনি হাসপাতালে যাওয়া উচিত আর আমি দিদির বাড়ি চলে যাচ্ছি। সবাইকে ফোন করছিল কিন্তু, সেই সময় কাউকে পাওয়া যায়নি। আমরা একে অপরের দিকে তাকিয়ে ছিলাম। আমি বারবারই বলছিলাম যে একদম ঠিক আছি। মরে যাচ্ছি না। সেই সময়ই তৈমুর হঠৎ বলল, তুমি মরে যাবে? আমি বললাম, না।'
ছোট্ট তৈমুর কেন সেই সময় হাসপাতালে গিয়েছিল? এই প্রশ্নবাণে বিদ্ধ হয়েছিল সইফিনা। এবার সেই প্রশ্নেরও জবাব দিলেন ছোটে নবাব।
পতৌদি নবাব সইফ আলি খান বলেন, 'তৈমুর নিজেকে অনেকটাই সামলে নিয়েছিল। একদম পারফেক্ট। ও বলল, আমি তোমার সঙ্গে যাব। আমিও ভাবলাম যদি আমার কিছু হয়...। ওর দিকে তাকালেই মনটা ভাল হয়ে যাবে। সেই জন্যই ওকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলাম। আমার স্ত্রীও বুঝেছিল তৈমুর আমার সঙ্গে থাকলে ভাল হবে হয়ত বা না...। সেই মুহূর্তে যেটা ওঁর সঠিক মনে হয়েছিল সেটাই করেছে। আমার খুব ভাল লেগেছিল। আমার মনে হচ্ছিল যদি কিছু হয়ে যায় তাহলে ও তখন আমার সঙ্গে থাকবে। তাই ওকে নিয়েই অটো করে রওনা দিই।'
ছোট্ট জেহ বাবাকে দিয়েছে একটা বিশেষ উপহার। যা পেয়ে যে কোনও বাবার মন আনন্দে নেচে উঠবে। সাক্ষাৎকারে সইফ ছোট ছেলে প্রসঙ্গে বলেন, 'আমাকে প্লাস্টিকের তলোয়ার দিয়ে বলেছিল এটা তোমার বিছানায় রাখ। যখন চোর আসবে মারবে।' ন্যানি গীতার প্রতি ভীষণ কৃতজ্ঞ জেহ। ও বলেছিল, 'গীতা আব্বাকে বাঁচিয়েছে আর আব্বা আমাকে।'