'তাণ্ডব' (Tandav) নিয়ে বিতর্কের জের। ওয়েব সিরিজে হিন্দুধর্ম ও শিবকে অপমানের অভিযোগ তুলে আমাজন প্রাইম এবং সইফ আলি খানের (Saif Ali Khan) বিরুদ্ধে চোখ রাঙিয়েছিল গেরুয়া শিবিরের একাংশ- কপিল মিশ্র,রাম কদম এবং মনোজ কোটাক। এবার তার জেরেই সইফের বাংলোর বাইরে কড়া পুলিশি নিরাপত্তা মোতায়েন করা হল। শুধু নবাবের বাড়ির বাইরেই নয়, আমাজনের অফিসের বাইরেও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে নিরাপত্তা। বিপাকে পড়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইল 'তাণ্ডব' নির্মাতারা।
রবিবারই উত্তর প্রদেশের হজরতগঞ্জের এক পুলিশ 'তাণ্ডব' নির্মাতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। ওয়েব সিরিজের কলেজ ক্যাম্পাসের একটি নাটকের দৃশ্যে আয়ুবকে দেখা গিয়েছে শিবের চরিত্রে। যেখানে নারদের চরিত্রকে বলতে শোনা যায় যে, রামের ফলোয়ার্স বেড়ে যাচ্ছে, তা নিয়ে শিবের কিছু করা উচিত। ব্যঙ্গাত্মক এই নাটকে শিব হিসেবে অশালীন ভাষার উচ্চারণও করতে শোনা যায় আয়ুবকে। ‘আজাদি’ স্লোগান নিয়েও বিদ্রুপ করা হয়। আর ঠিক এই বিষয়টিই মনে ধরেনি গেরুয়া শিবিরের একাংশের। অতঃপর মামলা দায়ের হয়। শিগগিরই পরিচালক আলি আব্বাস জাফরকে গ্রেফতার করা হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেওয়া হয়। এরপরই ক্ষমা চাইতে তড়িঘড়ি ময়দানে নামেন নির্মাতারা।
যাবতীয় সমালোচনা বিতর্কের পর সোমবার 'তাণ্ডব' পরিচালক আলি আব্বাস জাফর সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বিবৃতি জারি করে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন। পরিচালকের কথায়, "উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কোনও ধর্মকে আঘাত করা হয়নি। ওই ওয়েব সিরিজে যা দেখানো হয়েছে, তার জেরে কারও ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লাগলে, টিম 'তাণ্ডব' প্রত্যেকের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।"
উল্লেখ্য, মুক্তির ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বিপাকে পড়েছিল সইফ আলি খান (Saif Ali Khan) অভিনীত ওয়েব সিরিজ 'তাণ্ডব'। অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট ওয়েব সিরিজে হিন্দুধর্ম এবং হিন্দুধর্মের উপাস্য দেবতা শিবকে অপমান করা হয়েছে। যার জেরে গেরুয়া শিবিরের আক্রমণের হতে হয়েছে নবাবপুত্র সইফকেও। দায়ের হয়েছে মামলাও। একদিকে, গেরুয়া শিবিরের রোষ, অন্যদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং #BanTandavNow, সবমিলিয়ে 'তাণ্ডব' টিম যে বেজায় বিপাকে পড়েছে, তা বোধহয় আর আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না! এই ওয়েব সিরিজকে নিষিদ্ধ করার দাবি তুলে কেন্দ্রীয় তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন বিজেপি নেতা-সাংসদ কপিল মিশ্র। যার প্রেক্ষিতে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আমাজন প্রাইম এবং 'তাণ্ডব' নির্মাতাদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবিও উঠেছিল।