রিল লাইফে তাঁর চোখা চোখা সংলাপে দর্শকদের হাততালিতে হল কাঁপত। আর রিয়েল লাইফে তাঁর একটা সংলাপেই রাতারাতি বিতর্কের শীর্ষে পৌঁছে গিয়েছিলেন বাংলা সিনেমার একসময়ের সুপারস্টার তাপস পাল। তিনি চলে গেছেন একমাস অতিক্রান্ত।
Advertisment
এরমধ্যেই প্রকাশ্যে এল তাঁর শেষ ছবি 'বাঁশি'-র ট্রেলার। যদিও ছবির ডাবিং শেষ করে যেতে পারেননি তিনি। ছবিতে তাঁর গলায় ডাবিং করেছেন কণ্ঠশিল্পী শোভন কামিলা।
'বাঁশি' ছবির পরিচালনা করেছেন তুহিন সিংহ। তাপস পাল ছাড়াও ছবিতে পরিচিত মুখ অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। এছাড়াও দেখা গেল দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায় ও দেবিকা মুখোপাধ্যায়। সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন অমিত মিত্র।
মাত্র বাইশ বছর বয়সে ১৯৮০ সালে মুক্তি পেয়েছিল তাঁর প্রথম ছবি, তরুণ মজুমদার পরিচালিত ‘দাদার কীর্তি’। বক্স অফিসে প্রবলভাবে সফল সেই ছবি রাতারাতি সুপারস্টার করে দেয় তাঁকে। এর পর একের পর এক সুপারহিট ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় মাতিয়ে রাখেন দর্শকদের। ‘সাহেব’, ‘ভালবাসা ভালবাসা’, ‘গুরুদক্ষিণা’, ‘মায়া মমতা’, ‘সুরের ভুবনে’, ‘সমাপ্তি’, ‘উত্তরা’, ইত্যাদি ছবি তাঁকে তুলে দেয় জনপ্রিয়তার শীর্ষে। ‘সাহেব’ ছবির জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। এছাড়াও বলিউড সুপারস্টার মাধুরী দীক্ষিতের প্রথম ছবি ‘অবোধ’-এ তাঁর নায়ক ছিলেন তাপস।
ছবিতে তাপস পালের চরিত্রের নাম খগেন দত্ত। শোভন অনেক অ্যানিমেটেড ছবিতে কাজ করেছেন। 'চার্বাক'-র নাট্যগোষ্ঠীর সঙ্গে কাজ করেন তারা। বর্তমানে করোনাভাইরাসের হানায় পিছিয়ে গিয়েছে এই ছবির মুক্তিও। তাপস পালের মৃত্যুতে বিতর্ক উঠেছিল বহু। তাঁর স্ত্রী নন্দিনী পাল দাবি করেছিলেন, হাসপাতালের গাফিলতিতেই মৃত্যু হয়েছে অভিনেতার।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন