মঙ্গলবার ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন বাংলা ছবির একদা তুমুল জনপ্রিয় অভিনেতা তাপস পাল। মুম্বইয়ের এক বেসরকারি হাসপাতালে বেশ কিছুদিন ধরেই ভর্তি ছিলেন অসুস্থ অভিনেতা। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬১৷ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-কে তাঁর মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন প্রয়াত অভিনেতার স্ত্রী নন্দিনী পাল। বাণিজ্যনগরীতে মেয়ে সোহিনীর সঙ্গে দেখা করতে যান তিনি। আর শহরে ফেরা হলো না একদা তৃণমূলের কৃষ্ণনগরের সাংসদের।
মাত্র বাইশ বছর বয়সে ১৯৮০ সালে মুক্তি পেয়েছিল তাঁর প্রথম ছবি, তরুণ মজুমদার পরিচালিত 'দাদার কীর্তি'। বক্স অফিসে প্রবলভাবে সফল সেই ছবি রাতারাতি সুপারস্টার করে দেয় তাঁকে। এর পর একের পর এক সুপারহিট ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় মাতিয়ে রাখেন দর্শকদের। 'সাহেব', 'ভালবাসা ভালবাসা', 'গুরুদক্ষিণা', 'মায়া মমতা', 'সুরের ভুবনে', 'সমাপ্তি', 'উত্তরা', ইত্যাদি ছবি তাঁকে তুলে দেয় জনপ্রিয়তার শীর্ষে। 'সাহেব' ছবির জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। এছাড়াও বলিউড সুপারস্টার মাধুরী দীক্ষিতের প্রথম ছবি 'অবোধ'-এ তাঁর নায়ক ছিলেন তাপস।
আরও পড়ুন, ”রাজনীতিতে যোগদান বোধ হয় তাঁর জীবনের সবথেকে বড় ভুল সিদ্ধান্ত”
২০১৪ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে কৃষ্ণনগর থেকে লোকসভার সাংসদ হয়েছিলেন তাপস পাল। তবে তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ার বেশিদূর এগোয়নি। ২০১৬ সালে রোজভ্যালি চিটফান্ড কান্ডে নাম জড়ায় অভিনেতার। এর পরেই আসে পুলিশের হাতে গ্রেফতারি, তারপর ভুবনেশ্বরে হাজতবাস। তাপস পালের গগনচুম্বী কেরিয়ার তখন সায়াহ্নে।
তাঁর অভিনীত শেষ কয়েকটি ছবি 'আটটা আটের বনগাঁ লোকাল', যা মুক্তি পায় ২০১২ সালে, 'চ্যালেঞ্জ ২', 'উল্লাস', 'খিলাড়ি', ও 'স্বভূমি'।