কোমল আরজে পাঞ্চাল: একের পর এক হিট সিনেমা, আর প্রত্যেকটাই বাস্তবতা ঘিরে তৈরি। সমাজের আসল চিত্র ফুটিয়ে তোলার বিষয় হোক, কিংবা চিরাচরিত প্রথা ছেড়ে মূল অভিনেত্রীর চরিত্রে নিজেকে অন্যভাবে প্রতিষ্ঠিত করা, তাপসী পান্নু সবসময়ই দশে দশ। বর্তমানে ব্যস্ত, নতুন ছবি লুপ লাপেটা নিয়ে, তার মাঝখানেই অভিনয় জীবনের অতীত- বর্তমান সম্পর্কে জানালেন তিনি।
তাপসী বরাবরই একটু ঠোঁট কাটা স্বভাবের। ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে নয় বরং সোজাসুজি কথা বলায় বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। কেমন ছিল অভিনয়ের প্রথম দিনগুলো! সাক্ষাত্কারে তাপসী বলেন, সাত মিনিটের এক চরিত্র থেকে নিজের ক্যারিয়ার তৈরি করেছি, ওই চরিত্রে আমি চেষ্টা করেছিলাম, যাতে অল্প সময়েও দর্শকদের মনে থেকে যাই। উৎসাহ ছিল, অপেক্ষা করেছিলাম কেউ আমাকে সেই সুযোগ দেবে। যদি কোনও সিনেমায় আমায় ১/২ টি দৃশ্যও করতে হয় তবে তাতেই আমি শ্রেষ্ঠ অভিনয় করব।”
সবসময় বৈচিত্রময় চরিত্র, ক্রিটিকাল কিছু, ভয় লাগে অভিনেত্রীর? সাফ উত্তর দিলেন এবারও! বললেন, “যে ধরনের চরিত্রগুলোকে সঙ্গে নিয়ে আমি ক্যারিয়ার বানিয়েছি, প্রচলিত হিরোইনের চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ একদম হয়নি। সবসময়ই ট্রিকি কিছু করতে ইচ্ছে হয়। তাই ভয় আর কাজ করে না।" নারীকেন্দ্রিক চরিত্রগুলিই বেশি টানে তাঁকে।
কেমন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে চান তিনি? তাপসীর বক্তব্য, সব ধরনের! কেন্দ্রীয় চরিত্র হোক কিংবা গল্পের বাঁধনে সব চরিত্রের মধ্যে একটি - স্ক্রিন স্পেস ভাগ করে নিতে তার কোনও অসুবিধে নেই। শুধু এমন কিছু হতে হবে যার সঙ্গে নিজেকে রিলেট করতে পারেন তিনি। শুধু প্রধান অভিনেত্রী হিসেবে কাজ করতে চান তাপসী? এই প্রসঙ্গে তার মন্তব্য, তাহলে মিশন মঙ্গলের মত ছবি তিনি করতেন না। মাল্টি স্টার কাস্ট, অসাধারণ স্ক্রিপ্ট হলেই যেন ছবির চিত্রপট খুলতে থাকে। অন্য অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করতে হলেও সবার সঙ্গে পর্দায় দাড়ানোর বিষয়টি মারাত্মক চ্যালেঞ্জিং বলেই মনে করেন তিনি।
সিনেমাকে কী ভাবে দেখেন তিনি? তাপসী সোজা ভাষায় বলেন, "আমার চোখে সিনেমা দু ধরনের - যেটি মানুষকে আনন্দ দিতে পারে আর যেটি পারেনা। সিনেমা এমন হাওয়া উচিত যেটি মানুষের মনে গেঁথে যাবে। নয়তো এটি ভীষণ মজাদার, নয়তো প্রচন্ড গাঢ় অনুভূতি সৃষ্টি করবে, সবশেষে মানুষকে আটকে রাখার ক্ষমতা থাকলেই হল, তবেই সেটি আপাদমস্তক হিট ছবি।"