ভুয়ো অ্যাপের ফাঁদ! আর্থিক সংকটে পড়ে আত্মহত্যা 'তারক মেহতা' সিরিয়ালের চিত্রনাট্যকারের

পরিবারের অভিযোগ, সাইবার লোনের ফাঁদে পা দিয়েছিলেন তিনি।

পরিবারের অভিযোগ, সাইবার লোনের ফাঁদে পা দিয়েছিলেন তিনি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
tarak-mehta-ka-ulta-chasma

নেটদুনিয়ায় ভুয়ো অ্যাপের ফাঁদে পা দিয়ে সাংঘাতিক পরিণতি জনপ্রিয় ধারাবাহিক 'তারক মেহতা কা উলটা চশমা'র (Tarak Mehta Ka Ulta Chashma) চিত্রনাট্যকারের। আর্থিক সংকটে পরে শেষমেশ আত্মহত্যা করলেন খ্যাতনামা চিত্রনাট্যকার অভিষেক মাকওয়ানা (Abhishek Makwana)। পুলিশি সূত্রে খবর, চিত্রনাট্যকারের সুইসাইড নোটে আর্থিক সমস্যার কারণের স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। অন্যদিকে অভিষেকের পরিবারের অভিযোগ, সাইবার লোনের ফাঁদে পা দিয়েছিলেন তিনি।

Advertisment

ঠিক কী হয়েছে? একটি ভুয়ো অ্যাপের ফাঁদে পড়েছিলেন অভিষেক মাকওয়ান। অভিষেকই ছিল সেখানে লোনের গ্যারান্টার। ৩০ শতাংশের চড়া সুদে অল্প টাকা লোন নেওয়া হয়েছিল। তাই টাকা শোধ করার জন্য প্রায়শই হুমকি ফোন আসত চিত্রনাট্যকারের কাছে। বেশ কয়েক মাস ধরেই নাকি তিনি তীব্র আর্থিক সংকটের মধ্য দিয়ে কাটাচ্ছিলেন বলে জানিয়েছে অভিষেকের পরিবার। এরপর গত সপ্তাহেই অর্থাৎ নভেম্বর মাসের শেষের দিকে 'তারক মেহতা কা উলটা চশমা' খ্যাত চিত্রনাট্যকারকে তাঁর বাড়িতে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

মৃত্যুর সময় অভিষেক তাঁর আহমেদাবাদের বাড়িতে ছিলেন বলে জানান তাঁর ভাই জেনিস। তাঁর কথায়, দাদার মৃত্যুর পরও কোনওরকম আবেদন ছাড়াই চড়া সুদে টাকা পাঠানো হচ্ছিল। যেটি কিনা ভাই জেনিস দাদার ই-মেল থেকে জানতে পারে। এরপর তিনিই উদ্যোগ নিয়ে সেই লেনদেন বন্ধ করে দেন। এরপরই টাকা চেয়ে হুমকি ফোন আসতে শুরু করে অভিষেকের কাছে। তবে টাকা দেওয়ার মতো পরিস্থিতি তাঁদের নেই জানালে পরিবারের প্রতিও বিভিন্নরকম চাপ সৃষ্টি করা হয়।

অভিষেকের পরিবারের দাবি, তাঁর কাছে যে হুমকি ফোনগুলি আসত, সেই তালিকায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত-সহ মায়ানমার, বাংলাদেশের মতো বাইরের দেশেরও নম্বরও ছিল। যে অ্যাপটির মাধ্যমে লোন নেওয়া হয়েছিল, সেচি সাইবার কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত বলে দাবি অভিষেক মাকওয়ানার ভাই জেনিসের।