Taslima Nasrin on Bangladesh People: ভারত এবং পাকিস্তান সংঘর্ষ বিরতির দ্বিতীয় ভাগে দেখা গিয়েছে, গতকাল বর্ডারে কোনরকম গোলাগুলির আওয়াজ শোনা যায়নি। বরং, ভারতের তরফে তাঁদের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে যাদের উত্তেজনা সবথেকে বেশি তাঁরা হলেন ভারতের আরেক পড়শি বাংলাদেশ। তাঁরা যেন এও যুদ্ধ নিয়ে সাংঘাতিক উত্তেজিত। ভারতকে না, বরং পাকিস্তানকে ( India-Pakistan Tension ) সাপোর্ট করতে উৎসাহী তাঁরা। যদিও বা সেদেশে এমন অনেক নাগরিক আছেন যাদের ভারত বেশ কাছের।
কিন্তু, পাকিস্তানকে নিয়ে তাঁদের বড়াই করার শেষ নেই। ভারতের নাগরিকদের দাবি, ৭১ এর লড়াই-ঘটনা, স্বাধীনতার স্বাদগ্রহণে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর ভুমিকা-সবটাই ভুলে গিয়েছেন তাঁরা। আর এবার, নিজের মাদার নেশনকে ফের একবার তুলোধনা করেছেন বাংলাদেশের লেখিকা তসলিমা। তিনি জন্মসুত্রে বাংলাদেশী। কিন্তু, বর্তমানে ভারতীয় ভৌগলিক অবস্থান তাঁর। দিল্লি নিবাসী। কিছুদিন আগেই জানা গিয়েছে, তিনি কলকাতায় ফিরতে পারেন, ইচ্ছে হলে। এমনিতেও, অন্য দেশে থেকে নিজের দেশের সব খবর রাখেন তিনি। তাই, বর্তমানে যখন ভারত-পাক উত্তেজনায় বাংলাদেশের এত আগ্রহ, তসলিমা ফের একবার তুলোধোনা করেছেন। সমাজ মাধ্যমে লিখছেন...
"পাকিস্তানে যত ধর্মনিরপেক্ষ, ধর্মমুক্ত, শিক্ষিত লেখক সাংবাদিক বুদ্ধিজীবী আছেন, তার অর্ধেকও বাংলাদেশে নেই। বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষই অশিক্ষিত, মূর্খ ধর্মান্ধ এবং ওয়ার্থলেস। এদের দ্বারা দেশের-দশের ভাল কিছু হবে না। পাকিস্তানের জন্য বাংলাদেশের ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর যে আবেগ, সে আবেগ নিতান্তই 'তার কাটা। পাকিস্তানের বুদ্ধিজীবী শ্রেণীর কাছে এই আবেগের কোনও মূল্য নেই। পাকিস্তানের সেনাদের কাছেও এই আবেগের মূল্য নেই। তারা বাঙালি মুসলমানদের 'ছোট ছোট কালো কুৎসিত জীব' হিসেবে জানে। পাকিস্তানে যে ৩০ লক্ষ বাঙালি বাস করে, তাদের জীবন নিতান্তই মানবাধিকার বঞ্চিত মানবেতর জীবন। তারা বাঙালিদের সামান্য নাগরিক অধিকার দিতেও রাজি নয়।"
আরও পড়ুন - Mithun Chakraborty Marriage: ফের একবার ছাদনাতলায় মিঠুন? বিয়ের তোড়জোড় শুরু হতেই কী প্রতিক্রিয়া মহাগুরুর?
এখানেই থামলেন না তিনি। বরং, বাংলাদেশ আবারও স্বাধীন রাষ্ট্র থেকে পাকিস্তানের আওতায় চলে গেলে ঠিক কী কী হবে, সেটাই বাতলে দিলেন লেখিকা। পাকিস্তান যেভাবে বাংলাদেশকে ট্রিট করত, সেভাবেই তাঁরা যদি এখন ট্রিট করেন, তাহলেই লাভের লাভ হবে, বলেই দাবি করেন তসলিমা। তিনি আরও লিখলেন...
"আমার খুব ইচ্ছে বাংলাদেশ পাকিস্তানের সঙ্গে মিলে যাক, আগের মতো পাকিস্তানের গোলাম হয়ে থাকুক, বুটের লাথি খেয়ে বাঁচুক। পাকিস্তান সেইভাবে পঙ্গপাল হিসেবে ট্রিট করুক বাঙালি জনগোষ্ঠীকে, যেভাবে আগে ট্রিট করতো। পাকিস্তানি সেনাদের ভেতরের আইএসআই জিহাদি পুষে অভ্যস্ত, তারা জানে বাংলাদেশের জমি জিহাদিদের জন্য বেশ উর্বর। আইএসআই বাংলাদেশের আবেগীদের জন্য গড়ে দিক শত শত জঙ্গিঘাঁটি। গাজওয়াতুল হিন্দের স্বপ্ন দেখাক। ভারতের মাটিতে গিয়ে জঙ্গিগিরি করতে এদের উদবুদ্ধ করুক। তারপর একদিন ভারতের বোমায় ছাইয়ের মতো উড়ে যাক জঙ্গিঘাঁটিগুলো। পাকিস্তানের নির্যাতন থেকে বাঁচাবার জন্য ভারত একবার এসেছিল, দু'বার আসবে না।
মিলে যাক।"