বাড়িতে ওভারসাইজ পাজামা পড়ে ঘুরতে গিয়েই কান্ড ঘটিয়েছেন তসলিমা নাসরিন। ব্যাথা অনুভব করতেই ছুটেছিলেন হাসপাতালে। তারপর? সেখান থেকেই অগত্যা অপারেশন। শুধু অপারেশন বললেন ভুল হবে। একরকম জোর করে অপারেশন। ইচ্ছের বিরুদ্ধে এক ঘটনার শিকার হয়েছেন তসলিমা।
Advertisment
সেই কারণেই, অপারেশনের পর ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সামান্য ব্যথার কারণে হিপ রিপ্লেসমেন্ট? শুনেই, মাথায় হাত পরে তসলিমার। জোরজার করেও নিজের অপারেশন আটকাতে পারেন নি তিনি। কিন্তু এখন ভাল আছেন কি? তাঁর ফেসবুক পোস্ট অন্য কথাই বলছে। লিখলেন…
"মানুষকে বিশ্বাস করার ফল কী হতে পারে, যারা বন্ধু নয় তাদের বন্ধু ভাবার ফল কী হতে পারে, তা হাড়ে হাড়ে টের পেলাম। নিজের জীবন দিয়ে টের পেলাম। হাসপাতালের এক ডাক্তারকে বিশ্বাস করেছিলাম। ভেবেছিলাম সে বোধ হয় বন্ধু, তাকে জানিয়েছিলাম যে পড়ে গিয়েছিলাম ঘরে, এক্সরে করতে হবে। সেই বন্ধু আমাকে পাঠিয়ে দিল তার হাসপাতালের অর্থপেডিক ডাক্তারের কাছে যিনি হিপ রিপ্লেসমেন্টের এক্সপার্ট। সেই এক্সপার্ট শুরু থেকে আমার ফিমারের সামান্য ফ্র্যাকচারের ফিক্সেশান টিট্মেন্ট না করে আমার হিপ রিপ্লেসমেন্ট করার জন্য উঠে পড়ে লাগলেন। আমি বাধা দিয়েছি। তিনি বারবার এসেছেন আমাকে কনভিন্স করতে। তিন চারজন ডাক্তারকে পাঠিয়েছেন কনভিন্স করতে। আমাকে কোনও সময় দেওয়া হয়নি চিন্তা করতে, কারও সঙ্গে পরামর্শ করতে বা শুভাকাংখীদের কারো সঙ্গে কথা বলতে"।
তসলিমা জানিয়েছেন, এই ধরনের অপারেশনের জন্য যে ধরনের লক্ষণ থাকা উচিত তাঁর একটাও ছিল না। কিন্তু কী করে যে সবকিছু হয়ে গেল। লিখলেন, "আমার জয়েন্টে কোনও ধরণের রোগ ছিল না। জয়েন্ট আমার চমৎকার ছিল, কোনওদিন কোনও পেইন ছিল না। যে সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলাম, সেই সমস্যার ট্রিট্মেন্ট না করে ক্রমাগত মিথ্যে কথা বলে আমার শরীরের সুস্থ অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কেটে নেওয়া হয়েছে। আমি এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না বড় ডাক্তাররা এমন ভয়াবহ ক্রাইম করতে পারেন। আর আমি জানিনা আমারও বুদ্ধিসুদ্ধি কোথায় উবে গিয়েছিল যে এমন ক্রাইমের শিকার হতে নিজেকে দিলাম!
তসলিমার ফেসবুক পোস্ট দেখে বেশ কিছুদিন ধরেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন অনুরাগীরা। কেউ কেউ জিজ্ঞেসও করেছিলেন জটিল রোগে ভুগছেন কিনা। তবে, এখন যে ঠিকমত হাঁটতে পারছেন না, সেই নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকেই। তাঁদের বেশিরভাগের বক্তব্য সাধারণ মানুষের তাহলে কী হবে?