নেটফ্লিক্সে সদ্য মুক্তি পেয়েছে 'রে'। যা নিয়ে প্রশংসার পাশাপাশি সমালোচনা, কাটাছেঁড়াও কম চলছে না! সত্যজিৎ রায়ের গল্প নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করার জন্য চটেছেন অনেকেই। অতঃপর রে নিয়ে মিমের ছড়াছড়ি সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিন্তু সৃজিতের 'ফরগেট ফি নট' (Forget Me Not) মন কেড়েছে অনেক সিনেপ্রেমীরই, যেখানে 'বহুরূপীয়া' সিরিজকে অনেকে 'ভিঞ্চি দা'র প্রতিচ্ছ্ববি হিসেবেই দেখছেন। তবে বসন বালা, অভিষেক চৌবের তুলনায় সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের (Srijit Mukherji) পাল্লা যেন একটু বেশি-ই ভারী। কারণ, মাণিকবাবুর লেখা 'বিপিন চৌধুরীর স্মৃতিভ্রম' অবলম্বনে তৈরি 'ফরগেট ফি নট' দেখে খোদ বলিউড পরিচালক বিশাল ভরদ্বাজ (Vishal Bhardwaj) যেখানে মুখুজ্জেমশাইকে ফোন করে ফেলেছেন, পাশাপাশি লেখিকা তসলিমা নাসরিনও পরিচালকের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
Advertisment
তসলিমা নাসরিনের (Taslima Nasrin) পোস্ট দেখে আপ্লুত সৃজিতও। লেখিকা তাঁর পোস্টের শুরুতেই জানিয়ে দিয়েছেন যে, আঁতেলদের নিন্দে শুনেই রে দেখবেন বলে ঠিক করেন, কারণ তাঁর আগে এই ওয়েব সিরিজ দেখার বিন্দুমাত্র ইচ্ছে ছিল না।
তা নেটফ্লিক্সে Ray দেখে কেমন লাগল তসলিমা নাসরিনের? লেখিকার কথায়, এই ওয়েব সিরিজ দেখার পর তাঁর মনে হয়েছে তুখোড় শিল্পীদের সমন্বয়ে সত্যজিৎ রায়ের গল্পের এমন আধুনীকিকরণ সম্ভব হয়েছে। তসলিমার স্বীকারোক্তি, সত্যজিৎ রায়ের (Satyajit Ray) গল্পের ওপর ভিত্তি করে চারটে ছোট ছোট ছবি দেখাচ্ছে নেটফ্লিক্স। শুনেছি, কিন্তু সত্যি বলতে কী, দেখার তেমন ইচ্ছে ছিল না। কারণ দেখলে ভাল লাগবে এমন বিশ্বাস ছিল না। আঁতেলদের নিন্দে শুনেই দেখার ইচ্ছে জাগলো। দেখে তো রীতিমত মুগ্ধ আমি।"
Advertisment
এরপরই লেখিকা বলেন, "কয়েক দশক পুরোনো গল্পের এমন অবিশ্বাস্য আধুনিকীকরণ করতে সাহস তো দরকারই। কল্পনাশক্তি আর শিল্পবোধও প্রচণ্ড দরকার। ছকভাঙা সোজা ব্যাপার নয়। তুখোড় শিল্পী হলেই পারেন। সত্যজিৎ রায়কে বয়স্ক আঁতেলদের বুকপকেট থেকে বের করে এনে পুরো ভারতবর্ষের, এমনকী পুরো বিশ্বের নতুন প্রজন্মের হাতে তুলে দিলেন ওঁরা।"
তবে Ray দেখার পর তসলিমার মার্কসিটে তিন পরিচালকের মধ্যে সৃজিত মুখোপাধ্যায়- এগিয়ে। লেখিকা বলছেন, "অভিষেক চৌবে (Abhishek Chaubey) চমৎকার, ভাসান বালাও (Vasan Bala) ভাল। আর আমাদের সৃজিত মুখোপাধ্যায় যত ছবি বানিয়েছেন, মনে তো হচ্ছে তাঁর এই দুটো সবার সেরা।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন