"শ্রাবন্তীই সবচেয়ে চালাক। যা দেওয়ার অকাতরে দিয়েছে, যা পাবার পেয়েছে, তারপর পেশায় প্রত্যাবর্তন, বাই বাই রাজনীতি..!" ফের বিস্ফোরক মন্তব্য তথাগত রায়ের।
এই অবশ্য প্রথম নয়, এর আগেও তথাগত টুইটে খোঁচা দিয়েছেন অভিনেত্রীকে। সেবার অবশ্য বিজেপিতে থাকাকালীন শ্রাবন্তী গঙ্গাবক্ষে এক অনুষ্ঠানে তৃণমূলের মদন মিত্রর সঙ্গে সেলফি তুলে বিপাকে পড়েছিলেন। তবে এবার গেরুয়া শিবির থেকে জোড়াফুলে যাওয়া নেতাদের বিঁধতে গিয়েই ফের শ্রাবন্তী প্রসঙ্গ উত্থাপন করলেন বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি।
টুইটে তথাগত রায়ের মন্তব্য, "শ্রাবন্তী, সব্যসাচী দত্ত, বাবুল সুপ্রিয়, রাজীব, মুকুল, জয়প্রকাশ। সকলেরই এক রুটিন। দিন তিনেক স্টেজে উঠে উচ্ছ্বাসে ভেসে যাওয়া, তারপর নিস্তরঙ্গ জীবন। এর মধ্যে শ্রাবন্তীই সবচেয়ে চালাক। যা দেবার অকাতরে দিয়েছে, যা পাবার পেয়েছে, তারপর পেশায় প্রত্যাবর্তন, বাই বাই রাজনীতি!"
বাবুল সুপ্রিয়, জয়প্রকাশ মজুমদারদের মতো রাজ্য বিজেপির প্রথমসারির নেতারা যখন তৃণমূলের পতাকা তুলে নিয়েছেন, তখন একুশের বিধানসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবিরের হারের পর সব্যসাচী দত্ত, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, মুকুল রায়দেরও 'ঘরওয়াপসি' হয়েছে। অন্যদিকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া তারকারা তনুশ্রী চক্রবর্তী, বনি সেনগুপ্ত, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়রাও ভোটে হেরে যাওয়ার পর একে-একে দলত্যাগ করেছেন। সেই প্রসঙ্গে দলবদলানো নেতাদের বিঁধতে গিয়ে শ্রাবন্তীকেও ওই টুইটে আক্রমণ করে বসেন তথাগত।
এপ্রসঙ্গে শ্রাবন্তীর জবাব, "তথাগতদার সুস্থতা কামনা করি।" পাল্টা কোনওরকম কু-মন্তব্য না করে একলাইনেই উত্তর সেরেছেন অভিনেত্রী।
উল্লেখ্য, গতবছর নভেম্বর মাসেই শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় একরাশ ক্ষোভপ্রকাশ করে পদ্ম-ত্যাগ করেছেন। বলেছিলেন, "বাংলার জন্য সেরকম কোনও উদ্যোগ নিতেই দেখিনি। তাই বিজেপির সঙ্গে সমস্তরকম সম্পর্ক ছিন্ন করলাম।" তার দিন কয়েকের মধ্যেই তৃণমূলের অনুষ্ঠানের মঞ্চে দেখা গিয়েছে অভিনেত্রীকে। শুধু তাই নয়, বাইশের পুরভোটেও বহরমপুরে তৃণমূলের হয়ে প্রচার সেরে এসেছিলেন একদা বিজেপিতে থাকা টলিনায়িকা। আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূলে যোগ না দিলেও তিনিও যে রাজ্যের শাসকদল ঘনিষ্ঠ হয়েছেন বিজেপি ছাড়ার পর, বাংলার রাজনৈতিক মহলের অন্দরে এই জল্পনা সর্বত্র। সেই প্রেক্ষিতেই কি শ্রাবন্তীকে বিঁধলেন তথাগত? উঠছে প্রশ্ন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন