Payel De: মাতৃত্বকালীন বিরতি কাটিয়ে সম্প্রতি আবারও অভিনয় শুরু করেছেন টেলিপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী পায়েল দে। 'দুর্গা দুর্গেশ্বরী' ধারাবাহিকে দেবী দুর্গা হয়েই এসেছেন, যে রূপে পায়েল দে-কে দর্শক দেখেছেন স্টার জলসা-র প্রথম 'দুর্গা' ধারাবাহিকে। এবছর তাঁর ছেলে মেরাকের প্রথম পুজো। আর প্রথম পুজোতেই রয়েছে মেরাকের প্রথম বিদেশভ্রমণ। গত বছর গ্রিস বেড়াতে গিয়েছিলেন পায়েল-দ্বৈপায়ন আর এবছর ছেলেকে নিয়ে আবারও পাড়ি দিচ্ছেন ইউরোপেই।
''আমরা ১ অক্টোবর বেরোচ্ছি। প্রথমেই হল্যান্ড যাব, তার পরে হল্যান্ড থেকে জার্মানি। আসলে হল্যান্ডে গোগোলের (দ্বৈপায়ন) এক বন্ধুর বাড়ি। ওর বাডি়তেই কিছুদিন থেকে তার পরে একসঙ্গেই জার্মানি যাওয়ার ইচ্ছে'', বলেন পায়েল, ''কিন্তু সবটাই নির্ভর করছে বাচ্চাদের উপর। আমাদের ছেলে এখন সাড়ে পাঁচ মাস, যখন রওনা দেব ও তখন ৬ মাসের হবে আর ওদের পুঁচকের বয়স এখন ৯ মাস। ওই দুজন কতটা ধকল নিতে পারবে, সেটা বুঝে শুনেই ঠিক করা হবে জার্মানি যাব কি না।''
মেরাক। ছবি: পায়েল দে-র ফেসবুক পেজ থেকে
আরও পড়ুন: শোভাবাজারের মিত্র বাড়ির বউ সঙঘশ্রী! শোনালেন ৩৭২ বছরের পুজোর গল্প
জার্মানি না গেলেও নেদারল্যান্ডসেই পুরো পুজোটা কাটবে পায়েল, দ্বৈপায়ন ও ছোট্ট মেরাকের, লক্ষ্মীপুজোর পরেই ঘরে ফেরা। মেরাকের নামকরণের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে বাবা-মায়ের ভ্রমণপিপাসা। মেরাক হল লাদাখের একটা গ্রামের নাম। এছাড়া আরও একটি নাম রয়েছে পায়েল-দ্বৈপায়নের ছেলের-- ওলি। এই নামটিও উত্তরাখণ্ডের একটি গ্রামের নামে রাখা। পায়েল ও দ্বৈপায়ন হলেন মনেপ্রাণে বিশ্বপর্যটক। কাজ থেকে ছুটি পেলেই ট্রেকিংয়ে বেরিয়ে পড়েন অথবা যে কোনও পছন্দের গন্তব্যের উদ্দেশে। মেরাক আসার পরে এই প্রথম বেড়াতে যাচ্ছেন দম্পতি।
মেরাক, পায়েল ও দ্বৈপায়ন। ছবি: পায়েল দে-র ফেসবুক পেজ থেকে
''এখন নতুন নতুন সব বিহেভিয়ার শিখছে। এই সামনে গেলে দুটো হাত বাড়িয়ে দেয়। মানে আমাকে একটু কোলে নাও, আমাকে একটু ঘোরাও, এরকম একটা ব্যাপার'', বলেন পায়েল, ''প্রতিদিনই ওকে প্র্যামে বসিয়ে আমাদের কমপ্লেক্সে ঘোরানো হয়। তবে ও গান শুনতে খুব ভালোবাসে। আমার শাশুড়ি-মা এখন থেকেই স্পেশাল গানের ক্লাস করেন। জ্যাজ থেকে রবীন্দ্রসঙ্গীত, সবকিছুই কিন্তু শোনে মন দিয়ে।''
আরও পড়ুন: কর্পোরেট কেরিয়ার ছেড়ে কীভাবে হয়ে উঠলেন অভিনেতা, গল্প শোনালেন ‘দুর্গা দুর্গেশ্বরী’-নায়ক
পায়েল সম্প্রতি একটু একটু করে আবার কাজ শুরু করেছেন। 'দুর্গা দুর্গেশ্বরী' ধারাবাহিকে এসেছেন মা দুর্গা হয়ে, প্রায় ৮ মাসের বিরতির পরে। ''আসলে এই কাজটার কথা সাহানাদি অনেক দিন আগেই বলেছিল। তখন মেরাক অনেকটাই ছোট, ওকে রেখে বেরনোটা মুশকিল ছিল। কিন্তু সাহানাদিও ভীষণভাবে চেয়েছিল আমি চরিত্রটা করি আর আমি নিজেও দুর্গা চরিত্রটা নিয়ে খুব নস্ট্যালজিক। ১০ বছর আগে ওই চরিত্রের জন্যই কিন্তু দর্শক আমাকে প্রথম চিনেছে'', বলেন পায়েল, ''তাই আমারও খুব ভালো লেগেছিল সাহানাদি যখন এই নতুন কাজটার কথা বলে। এখন মেরাক একটু বড়, আমি একটু-আধটু বেরোতে পারব ওকে রেখে তাই। আর আমাকে রোজ যেতেও হচ্ছে না শুটিংয়ে, সেই কমফর্ট জোনটাও কিন্তু ওরা দিচ্ছে আমাকে।''
বাঁদিকে দশ বছর আগের দুর্গা ধারাবাহিকে ও ডানদিকে সাম্প্রতিক 'দুর্গা দুর্গেশ্বরী'-তে। ছবি সৌজন্য: পায়েল দে ফ্যানক্লাব
'দুর্গা দুর্গেশ্বরী'-তে পায়েল এসেছেন দেবী দুর্গার হয়েই যিনি নায়িকা দুগ্গা-কে রক্ষা করেন। নানা রকম ছদ্মবেশে এসে বিভিন্ন বিপদের সমাধান সূত্র দিয়ে যান। কখনও তিনি আলতাওয়ালি সেজে আসেন আবার কখনও সাধারণ এক গ্রাম্য বধূ সেজে এসে দুগ্গার পাশে দাঁড়ান। এর আগে, প্রথম 'দুর্গা' ধারাবাহিকেও পায়েল অভিনীত চরিত্রটি ছিল মা দুর্গারই ছদ্মবেশ। নতুন ধারাবাহিকে, নতুন কলাকুশলীদের মধ্যে আবারও মা দুর্গা রূপেই ফিরলেন পায়েল।
তবে 'দুর্গা দুর্গেশ্বরী'-র এই চরিত্রটিকে ঠিক কামব্যাক বলতে রাজি নন অভিনেত্রী। তাঁর মতে, কামব্যাক হবে আরও বড় কিছু। আপাতত মেরাককে আরও একটু সময় দেওয়া প্রয়োজন। আবার সামনে বিদেশভ্রমণও রয়েছে। হয়তো আগামী বছরই আনুষ্ঠানিক কামব্যাক হতে চলেছে অভিনেত্রীর। যদিও সেই বিষয়ে তেমন নির্দিষ্ট করে কিছু জানাননি অভিনেত্রী।