মৃত্যুর একদিন আগে, অর্থাৎ শনিবারই বাড়িতে ফোন করেছিলেন পল্লবী। মাকে ফোন করে ধোকার ডালনার রেসিপি জানতে চান অভিনেত্রী। তার পর রবিবার সকালেই যে তাঁর মৃত্যু হবে এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না পল্লবীর মা-বাবা। যে মেয়ে একদিন আগে ফোন করে রেসিপি জানতে চায় নিজে রান্না করবে বলে, সে কী করে পরেরদিন সকালে আত্মহত্যা করতে পারে! তা মানতে চাইছেন না পল্লবীর বাবা। তাঁর দাবি, "আমার মনে হয় না মিষ্টু (পল্লবীর ডাকনাম) এ কাজ করতে পারে। ওকে হয়তো খুনই করা হয়েছে।"
আজই সকালে হাওড়ার বাড়িতে পল্লবীর দিদার বাৎসরিকের অনুষ্ঠান ছিল। আত্মীয়-স্বজনে ভরা ঘর। পল্লবীর কি আসার কথা ছিল, তা জানা যায়নি। কিন্তু মেয়ের আকস্মিক মৃত্যুতে তাঁর মাথায় বাজ পড়েছে। নিজেকে সামলে নিয়ে তিনি বলেন, "ও তো বুঝদার মেয়ে। আত্মহত্যা করতে পারে না মিষ্টু। ও সেরকম মেয়ে নয়।" তবে এখনই পুলিশের কাছে মেয়ের মৃত্যু নিয়ে অভিযোগ জানায়নি পল্লবীর পরিবার।
পল্লবীর ভাই জানিয়েছেন, তাঁরা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই পরবর্তী পদক্ষেপ করবেন। পুলিশ ইতিমধ্যেই পল্লবী দে-র মৃত্যুর ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে। পল্লবীর লিভ-ইন পার্টনারকে জেরা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন সুশান্ত থেকে পল্লবী, সম্পর্কের টানাপোড়েনে অকালে ঝরে যায় তারারা
বড় তারকা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে কলকাতায় পা রেখেছিলেন সাঁতরাগাছির পল্লবী। গড়ফার ফ্ল্যাটে লিভ-ইন পার্টনারের সঙ্গে থাকতেন। আচমকা কী হল তাঁর, আজ রবিবারও তাঁর শুটিংয়ে যাওয়ার কথা ছিল। বর্তমানে ‘মন মানে না’ ধারাবাহিকে অভিনয় করছিলেন তিনি। তাঁর সহ-অভিনেতা ভরত কল জানিয়েছেন, একদিন আগেও একসঙ্গে তাঁরা শুটিং করেছেন। তখনও হাসি-খুশি ছিলেন পল্লবী। তাঁর ভিতরে কী চলছিল কেউ-ই বুঝতে পারেনি।
সাঁতরাগাছির মেয়ে পল্লবীর ডাকনাম মিষ্টু। দেড় মাস আগে গড়ফায় একটি ফ্ল্যাটে চলে আসেন থাকতে। লিভ-ইন পার্টনারের সঙ্গে থাকার কারণেই হাওড়া থেকে গড়ফায় চলে আসা বলে জানিয়েছেন ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা। শনিবার রাতে সেই সঙ্গীর সঙ্গে কিছু নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। রবিবার সকালে বাড়ির বাইরে গিয়েছিলেন সেই সঙ্গী। তখনই এমন কাণ্ড হয়।