ফেব্রুয়ারিতে প্রোপোজ করেছিল প্রেমিক। তার পর এপ্রিলেই হাওড়া থেকে গড়ফার ফ্ল্যাটে একসঙ্গে লিভ-ইন করতে শুরু করেন পল্লবী-সাগ্নিক। 'আমি সিরাজের বেগম', 'কুঞ্জছায়া', 'রেশম ঝাঁপি' এবং বর্তমানে 'মন মানে না'-র মতো সিরিয়ালের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পল্লবী দে-র মৃত্যুরহস্যে নতুন তথ্য উঠে এসেছে। রবিবারই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় পল্লবীর। পুলিশকে খবর দেন লিভ-ইন পার্টনার সাগ্নিকই। গড়ফার ফ্ল্যাটে থাকতে নিজেদের বিবাহিত বলবে পরিচয় দিয়েছিলেন পল্লবী-সাগ্নিক।
Advertisment
ইনস্টাগ্রামে দুজনের বেশ কিছু ছবি এখন চর্চার কেন্দ্রবিন্দু। গত ফেব্রুয়ারি মাসে পল্লবীর ইনস্টাগ্রামে একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, তাঁর প্রেমিক সাগ্নিক হাতে আংটির বাক্স নিয়ে দাঁড়িয়ে। আর খুশিতে বাঁ হাত এগিয়ে দিচ্ছেন পল্লবী। ক্যাপশনে লেখা, 'ফাইনালি' (অবশেষে)। মনে হচ্ছে, আংটি পরিয়ে বিয়ের জন্য প্রস্তাব দিচ্ছেন প্রেমিক। তাতে আনন্দে গদগদ পল্লবী।
কিছুদিন ধরে দুজনের সম্পর্কে ফাটল ধরেছিল বলে অনুমান অভিনেত্রীর বন্ধু-বান্ধবদের। শনিবার এবং রবিবার সকালেও একপ্রস্ত দুজনের কথা কাটাকাটি হয় বলে পুলিশ সাগ্নিককে জেরা করে জানতে পেরেছে। পল্লবী এবং সাগ্নিক হাওড়ার রামরাজাতলায় একই এলাকার বাসিন্দা। ছোটবেলা থেকে ভাল বন্ধু। বয়সের সঙ্গে সেই বন্ধুত্ব প্রেমে পরিণত হয়। সেই প্রেমের টানে দুজনে হাওড়া ছেড়ে গড়ফার ফ্ল্যাটে চলে আসেন। কিন্তু সেই সুখ বেশিদিন স্থায়ী হল না পল্লবীর।
সাগ্নিকের বাবা জানিয়েছেন, "ওঁরা লিভ-ইন করত জানতাম। তাতে আমাদের মত ছিল না। আমরা চেয়েছিলাম ওঁরা তাড়াতাড়ি বিয়ে করে নিক।" পল্লবীর ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে এখনও সাগ্নিকের সঙ্গে প্রেমঘন ছবি জ্বলজ্বল করছে। বাড়ি ভাড়া নেওয়ার সময় নিজেকে বিবাহিত বলে পরিচয় দিয়েছিলেন পল্লবী-সাগ্নিক। কিন্তু দুজনের পরিবার জানত, তাঁরা লিভ-ইন করছেন। সম্পর্কে এতদূর এগিয়েও ফাটল আটকানো গেল না। সম্পর্কের টানাপোড়েনেই অকালে চলে গেল 'মন মানে না'-র গৌরী।