সম্পত্তি কেনা নিয়ে বিবাদেই কি পল্লবীর মৃত্যু! অভিনেত্রীর রহস্যমৃত্যু ঘিরে এমনই প্রশ্ন উঠে আসছে পুলিশি তদন্তে। সোমবার গভীর রাত পর্যন্ত এই নিয়ে পল্লবীর লিভ-ইন পার্টনার সাগ্নিককে জেরা করেছেন গোয়েন্দা কর্তারা। গড়ফা থানায় গভীর রাত পর্যন্ত জেরা করা হয় সাগ্নিককে। তাতেই উঠে আসে অনেক তথ্য।
মৃত অভিনেত্রীর পরিবারের অভিযোগ, পল্লবীর টাকায় নিউটাউনে ফ্ল্যাট কিনেছিলেন সাগ্নিক। পল্লবীর উপার্জিত অর্থের উপর নজর ছিল সাগ্নিকের। কিন্তু সাগ্নিক জেরায় পুলিশকে জানিয়েছেন, মন মানে না সিরিয়ালের কাজ শেষের দিকে ছিল। হাতে নতুন কোনও কাজ আসছিল না পল্লবীর। তার উপর ফ্ল্যাটের ভাড়া, গয়নার ইএমআই নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন পল্লবী। তাতেই অবসাদে ভুগছিলেন তিনি।
সূত্রের খবর, পল্লবী-সাগ্নিক (Pallavi Dey live in partner Sagnik Chakraborty) দুজনে মিলে কী কী সম্পত্তি কিনেছিলেন, ব্যাঙ্কে কত টাকা রয়েছে, সম্পত্তি কেনা নিয়ে কোনও বিবাদ হয়েছিল কি না তা জেরা করে জানতে চাওয়া হয় সাগ্নিককে। সাগ্নিকের আর্থিক লেনদেন নিয়ে পল্লবীর পরিবারের তরফে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে সে বিষয়েও প্রশ্ন করা হয় সাগ্নিককে। নতুন কোনও সম্পত্তি কেনা নিয়ে দুজনের মধ্যে বিবাদ হয়েছিল কি না তা জানতে চায় পুলিশ।
আরও পড়ুন পল্লবী না থাকলেই ফাঁকা ফ্ল্যাটে মেয়ে নিয়ে আসত সাগ্নিক! চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে
FIR-এ পল্লবীর বাবা নীলু দে এও জানান যে, পল্লবীর থেকে টাকা আত্মসাৎ করে দিব্যি অন্য সম্পর্ক চালাচ্ছিলেন সাগ্নিক। প্রায় প্রতিদিনই মদ্যপান করতেন। এবং মত্ত অবস্থায় একাধিকবার শারীরিক নিগ্রহ করেছেন পল্লবীকে। নায়িকার শরীরের যে চিহ্ন দেখতে পেয়েছিলেন তাঁর সহকর্মীরাও।
আরও পড়ুন পল্লবীর ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার গাঁজা-হুক্কা, অভিনেত্রীর ফোন পরীক্ষা করে মিলেছে বহু তথ্য
পাশাপাশি অভিযুক্ত সাগ্নিক চক্রবর্তীর পেশা নিয়েও বেজায় ধোঁয়াশা রয়েছে। তিনি আদতেও কী করতেন? তা কোনওদিনই জানতে পারেননি পল্লবীর বন্ধুরা। এমনকী সহকর্মী-অভিনেতা সায়ক চক্রবর্তীও জানিয়েছেন যে, “জন্মদিনে একেকবার পল্লবীকে হিরের আংটি, আইফোন উপহার দিয়েছিল সাগ্নিক। মাঝেমধ্যেই কলকাতার নামী-দামি হোটেলে থাকত দুজনে। কোথা থেকে এত টাকা আসত সাগ্নিকের কাছে নাকি সেগুলো সবই পল্লবীর টাকা?” প্রশ্ন অভিনেতা সায়কের।