ঐন্দ্রিলা শর্মার ছবি-ভিডিওতে বারবার ঘুরে-ফিরে এসেছে তাঁর দুই সন্তান পোষ্য। কঠিন সময়ে অভিনেত্রীর মন চাঙ্গা করতে ওঁদেরও জুড়ি মেলা ছিল ভার। সন্তানের মতোই ঐন্দ্রিলা তাঁদের ভালবাসতেন। অবলা চারপেয়েগুলোও মাতৃস্নেহ পেয়ে বাড়ির আনাচে-কাঁনাচে এদিক-ওদিক করত। দীর্ঘ রোগভোগকালীন ঐন্দ্রিলার অনেকটা সময়ই কেটে যেত তোজো, বোজোদের সঙ্গে।
কিন্তু মা তো আর নেই। সে চলে গিয়েছে চিরঘুমের দেশে। আর কখনও আদর করে কোলে তুলে চুমু এঁকে দেবে না। আর কখনও গায়ে হাত বুলিয়ে দেবে না সে। অবলা হলেও অবুঝ নয় ওঁরা। তাই ঐন্দ্রিলার চলে যাওয়াটা তাঁর পরিবারের কাছে যতটা ধাক্কা, তোজো, বোজেদের কাছেও কম কিছু নয়। অভিনেত্রীর প্রয়াণের পর থেকেই ছটফট করছে দুই পোষ্য।
<আরও পড়ুন: ‘অসীম ক্ষমতায় ঐন্দ্রিলা আজ জয়ী’, পদ্মাপারে শোকাতুর জয়া, ব্যথিত চঞ্চল চৌধুরিও>
ঐন্দ্রিলা বাড়িতে থাকলে সারাক্ষণ তাঁর ছায়াসঙ্গী হয়ে থাকত তোজো, বোজোরা। অভিনেত্রীর বড় আদুরে। সারাবাড়ি খেলে বেড়াত। তবে ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর পর থেকেই কেমন যেন গুমড়ে গিয়েছে। রবিবার ঐন্দ্রিলার শববাহী গাড়ি যখন তাঁদের আবাসনে ঢুকল, ছুটে এসে তাঁর পায়ের কাছে আঁকুলি, বিকুলি করছিল তারা। কিন্তু কই চেনা মানুষ তো সারা দিচ্ছে না। প্রচুর মানুষের ভীড়। চারদিকে ক্যামেরার ফ্ল্যাশের ঝলকানি। অত-শত কী ওরা বোঝে?
তবে ঐন্দ্রিলার মা শিখা শর্মা যখন তোজো, বোজোকে আলতো ছুঁয়ে কেঁদে ফেললেন, তখনই তারা গা চেটে পাল্টা উত্তর দিল- 'আমরা আছি..'। ঐন্দ্রিলার দেহের কাছে দুই পোশ্যকে নামাতেই ওরা কী করবে ঠাহর করতে পারছিল না। মায়ের আদর খেতে এগিয়ে গেল.. কিন্তু সে তখন নিষ্প্রাণ। চিরঘুমের দেশে। ওঁদের দেখভাল করার মানুষটিও তখন অঝোরে কেঁদে চলেছে। শববাহী গাড়ি বেরনোর সময়ও অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে রইল তোজো, বোজোরা।