এত ভালবাসা, বিরাট স্টারডম, লাইমলাইট...তারপরেও অরিজিতের মত সাধারণ মানুষ যেন আর দুটো নেই। ট্রেনে করে যে মানুষ নিজের কনসার্ট করতে শিলিগুড়ি যেতে পারেন, তাঁকে দিয়ে আর সবকিছুই সম্ভব। রাত ২:৪৫ মিনিটে ট্রেন থেকে নামতেই তাঁকে দেখতে ছুটে এসেছিলেন অনেকেই। আর শোয়ের দিন?
Advertisment
সে যেন এক অন্য অরিজিত। অনুরাগীদের মাঝখানে গেলেই তাঁর মধ্যে এক অন্যরকম উদ্যমতা। গিটার নিয়ে গেয়ে চলেছেন তিনি। অনুরাগীদের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলছেন। এমনকি বৃষ্টিও থামাতে পারছে না তাঁকে। একনাগাড়ে গেয়ে চলেছেন তিনি। তাঁকে সামনে দেখে যেন স্বপ্নপূরণ হল অনুরাগীদের। কেউ কেউ হাত বাড়িয়ে একবার তাঁকে ছুঁয়ে নিলেন। আবার কেউ কেউ অটোগ্রাফের জন্য খাতা, জামা এগিয়ে দিলেন তাঁর দিকে।
নিজের পছন্দের তো বটেই তবে ভক্তদের জন্য একের পর এক গান গাইতে শুরু করলেন। 'দেবা দেবা' থেকে 'তুঝসে হ্যায় রাবতা', 'মন রে কৃষিকাজ', 'ঝুমে জো পাঠান'...তখন ভক্তদের মধ্যে উচ্ছাস দেখার মত। চিৎকার, নাচানাচি... প্রখর বৃষ্টিতেও তিনি অটল। সুর ধরেছেন অ্যা দিল হ্যা মুশকিল। অরিজিতের গানে সরগরম গোটা স্টেডিয়াম। ভক্তরা ক্যামেরাবন্দি করলেন সেই দৃশ্য। এদিন, যেন গোটা ভারত সেজে স্টেজে উঠেছিলেন তিনি। মাথায় নীল পাগড়ি, সঙ্গে সাদা নীল জামা এবং প্যান্ট। কখনও বাংলা ব্যান্ডের গান গাইলেন আবার কখনও নিজের।
Advertisment
উল্লেখ্য, অরিজিতের কনসার্ট জুড়ে হইচই। কখনও টিকিটের দাম আবার কখনও লোকসংখ্যা...সূত্রের খবর, অরিজিত এই কনসার্টের জন্য যা পারিশ্রমিক নিয়েছেন তার সবটাই অভাবী শিশুদের কল্যাণে তিনি কাজে লাগাবেন। জিয়াগঞ্জে একটি হাসপতাল গড়ার শখও রয়েছে শিল্পীর।