রবিবার সকাল ৯.৫০ মিনিট নাগাদ গড়ফার ফ্ল্যাট থেকে পল্লবীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সিলিং থেকে বিছানার চাদরে ঝুলছিল পল্লবীর নিথর দেহ। এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। তারপর থেকেই শোকের ছায়া টেলিপাড়ায়। প্রাণবন্ত পল্লবীর মৃত্যু কেউই মেনে নিতে পারছেন না। আত্মহত্যা না নেপথ্যে অন্য রহস্য? ময়নাতদন্তের রিপোর্টে সেই উত্তর খোঁজার-ই চেষ্টা করছে পুলিশ।
প্রাথমিক তদন্তে, পল্লবী দে'র আত্মহত্যার ত্বত্ত্ব প্রকাশ্যে এলেও টেলি অভিনেত্রীর লিভ-ইন পার্টনারের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের দাবি, পল্লবীকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে। তবে ২৪ ঘণ্টা পেরলেও কোনওরকম অভিযোগ দায়ের করা হয়নি পল্লবীর পরিবারের তরফে। পুলিশ অভিনেত্রীর গলায় থাকা ফাঁসের দাগও খুঁটিয়ে দেখছে।
<আরও পড়ুন: সুশান্ত থেকে পল্লবী, সম্পর্কের টানাপোড়েনে অকালে ঝরে যায় তারারা>
পুলিশি সূত্রে খবর, টেলি-অভিনেত্রীর গলায় মিলেছে নন কন্টিনিউয়াস লিগেচার মার্ক। এপ্রসঙ্গে উল্লেখ্য, কেউ যদি নিজের গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন, তাহলে সেই ব্যক্তির থুতনির গোড়ার দিকে দাগ থাকে। আর তখনই নন কন্টিনিউয়াস লিগেচার মার্ক পড়ে। তবে অন্য কেউ যদি ফাঁস লাগিয়ে দেন, তাহলে সেক্ষেত্রে কন্টিনিউয়াস লিগেচার মার্ক থাকে। অর্থাৎ, প্রাথমিক এই তদন্ত থেকে পল্লবীর খুনের ত্বত্ত্ব অন্তত খারিজ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েইছে।
পুলিশ ইতিমধ্যেই পল্লবীর সঙ্গী সাগ্নিককে জেরা করা শুরু করেছে। বাজেয়াপ্ত হয়েছে তাঁর ফোন, ল্যাপটপও। বিছানার চাদর গলায় ফাঁস দিয়ে ফ্যান থেকেই ঝুলেই যে টেলি অভিনেত্রীর মৃত্যু হয়েছে, তা পুলিশ রবিবার-ই জানিয়েছে। তবে, ফাঁস দিয়ে মৃত্যু ঘটলে মুখ থেকে জিভ বা লালারস বেরয় সাধারণত, তবে পল্লবীর ক্ষেত্রে সেটা হয়নি। সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেকেই। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, সঙ্গী গৌরব বাড়ির বাইরে সিগারেট কিনতে যখন গিয়েছিলেন তখনই পল্লবী গলায় ফাঁস দেয়। তাই বেশিক্ষণ তাঁর দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল না, সম্ভবত সেই কারণেই জিভ বা লালারস বেরয়নি। কিন্তু পার্টনারের উপস্থিতিতে কীভাবে কিছুক্ষণের মধ্যে এমন কাণ্ড ঘটালেন পল্লবী দে? সেই নিয়ে ধোঁয়াশা থাকছেই।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন