বোধিসত্ত্বর বুদ্ধিতে নাজেহাল অবস্থা তার বাড়ির লোকের। তার পাকা পাকা কথা হোক কিংবা আদব কায়দায়- চোখ কপালে সকলের। কিন্তু আবারও তাকে নিয়ে শোরগোল কিসের? আবার কি করে বসল সে!
Advertisment
না, এবারে তার একেবারেই কোনও দোষ নেই। বরং তার দাদা বাবুইয়ের সঙ্গে একই ক্লাসে ভর্তি হতেই যত বিপত্তি। বোধি আর বাবুই একই ক্লাসে পড়বে? এই কথা কানে আসতেই রেগে আগুন কল্পনা। তার ছেলে ডাহা ফেল করা ছাত্র, আর বোধি কিনা প্রশংসা কোড়াবে? যথারীতি রাত বিরেতে স্বামীর সঙ্গে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দেয় সে। বাড়িতে বোধির ঠেলায় এমনিতেই থাকা দায়, তাঁর ওপর আবার স্কুলে!
আর এই কথা কানে আসতেও দেরি নেই। পরিবারের সকলেই তার এই ধরনের কথা বার্তায় যথেষ্ট অবাক। এমনকি সে উত্তেজনার বসে এও বলে ফেলে যে বোধির পাশে বাবুই কোনও ঠাঁই পায় না। এক স্কুলে ভর্তি হওয়ার কারণে তার বাবুই যে আরও পিছিয়ে পড়বে এই ভাবনায় সে জর্জরিত। এমনকি সংসারে আসার পর থেকে নানা ধরনের সমস্যার শিকার হয়েছে সে, এই নিয়েও রাগ দুঃখ কম নেই।
ছোট্ট বোধি বয়স অনুযায়ী যথেষ্ট পরিপক্ক। সপ্তম শ্রেণীর পড়াশোনাও সে করতে পারে। তাকে নিয়ে বাড়ির সকলের যথেষ্ট গর্ব। কিন্তু পরিবারে এরকম হিংসা বিদ্বেষ দেখেই যেন দর্শকদের আলাদা চিন্তা ভাবনা। কেউ কেউ বলেই বসলেন আর পাঁচটা সাধারণ বাড়িতে ঠিক এমনই হয়। একই বাড়িতে অনেক ভাইবোন থাকলে প্রতিযোগিতা কী মারাত্মক জায়গায় দাড়ায় এই নিয়েও মুখ খুললেন তারা।