ফুলঝুরির বিয়ের আগেই আসল কাজ সেরেছে লালন! অবশেষে চড়ুইয়ের কুকীর্তির কথা লিস্ট ধরে থানায় জানিয়ে এসেছে সে। একেবারেই তার দুঃসাহস আর বরদাস্ত করবে না। এবং এই কাজ ঘটিয়েই সে সোজাসুজি হাজির হয়েছে চড়ুইয়ের বাড়িতে।
Advertisment
চড়ুইয়ের স্বভাব আর কারওর কাছেই অজানা নয়। এতদিন মুখ বুজে সবকিছু লালন সহ্য করলেও এবার আর কোনও ছাড়াছাড়ি নেই। কিন্তু ফের কী এমন কান্ড করেছে সে? শশুরবাড়িতে কিঞ্চিতমাত্র কাজ করতেও অস্বস্তি চড়ুইয়ের। এদিকে তার মা চান্দ্রেয়ীর অস্কারায় মেয়ে দিনদিন অবাধ্য হয়ে উঠছে। চড়ুইয়ের অভিযোগ শশুরবাড়িতে তার গায়ে হাত তোলা হয়েছে, ফলেই সে লালনের বাড়িতে পুলিশ নিয়ে যায়। তার সামনে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় লালন খোদ! সে নিজে পুলিশকে জানায় কার অভিযোগে তারা এসেছেন? এমন একজন যার নামে আগে থেকেই এত কেস রয়েছে?
Advertisment
পরেই দেখা যায় চড়ুই-ফুলঝুরির বাড়িতে হাজির হয়েছে লালন। এবং যথারীতি গলা উচিয়ে সে জানায় চড়ুইয়ের নামে সমস্ত অভিযোগ থানায় জানানো হয়েছে। লালনের বক্তব্য এই বাড়িতে কাজ করার এক বিশেষ উদ্দেশ্য তার রয়েছে। পরমুহুর্তে সেই ইঙ্গিত যায় ফুলঝুরির দিকে। এদিকে লালন আদৌ চড়ুইয়ের সঙ্গে অভব্য আচরণ করেছে কিনা তার বিবেচনা না করেই সবাই তাকে দুষছে। চান্দ্রেয়ী তাঁকে শাসায় যে এই বাড়িতে তাঁর আর কাজ করতে আসার দরকার নেই। লালনও দৃঢ় কণ্ঠে জানায়, প্রয়োজনও নেই! এই বাড়িতে কাজ না করলেও তাঁর ভাত হজম হবে।
সামনেই ফুলঝুরির বিয়ে অঙ্কুরের সঙ্গে, এখন এইসব কান্ড ঘটানোর কোনও উত্তরই কেউ খুঁজে পাচ্ছে না। তাহলে কী মনে মনে হিংসা অনুভব করছে লালন? বিয়ে আটকানোর জন্যই কী চড়ুইকে জীবন থেকে উচ্ছেদ করতে চাইছে সে? লালনের প্ল্যান আসলেই কী সেটা তো সময় বলবে।