ধারাবাহিকের নাম গাঁটছড়া হলেও বিয়ে নিয়ে দ্বন্দ্বের শেষ নেই। এদিক ওদিক থেকে ষড়যন্ত্র আর তার মাঝেই চাপা পড়ছে ঋদ্ধি খড়ির সম্পর্ক। বিশেষ করে বনি কুণালের বিয়ে দেওয়ার পর থেকে তাদের মধ্যে চীনের পাঁচিল উঠে যাওয়ার জোগাড়।
সংসারে যেন অশান্তির শেষ নেই। আগে ছিল রাহুল, এখন তার সুগ্রীব দোসর কিয়ারা। দুই ভাইবোনের চক্রান্তের শেষ নেই। সবকিছুকেই বিপরীতভাবে তুলে ধরার চক্করে জেরবার খড়ির জীবন। রাহুল এবং কিয়ারার ষড়যন্ত্রে অজান্তেই সামিল হয় ঋদ্ধি। গয়নার ডিজাইনের দায়িত্ব দেয় কিয়ারার ওপর। এবং সেইই ছল করে এমন ব্যবস্থা করে যাতে সমস্ত অর্ডার পৌঁছায় দত্ত জুয়েলার্সের কাছে।
আরও পড়ুন < ‘সব ঝিকিমিকি কেস, অসাধারণ লোকেরা হুইল চেয়ারেও ঘোরে!’, মশকরা ইউটিউবার ঝিলামের >
এদিকে এইসব কানাঘুষো কিছুই জানে না ঋদ্ধি। বোনের ওপর অন্ধবিশ্বাস তার। আর সবসময়ই খড়ির প্রতি অবিশ্বাস। তাই তো খড়ি যেচে তার সাহায্য করতে যেতেই খড়িকে অপমান করে সে। নিজের হাতের কাজের প্রদর্শনী করবে সে। নিজের কাজের জেরে বেশ কিছু অর্ডারও পেয়েছে সে, এদিকে সেই নিয়েও নয়ছয় করে কিয়ারা। খড়ির প্ল্যান নিয়ে কিছুই জানে না ঋদ্ধি, কিন্তু একসময়ের সাহায্যের ঋণ সে মেটাতে চায়। খড়িকে টানতে টানতে নিয়ে গিয়ে পরনের বস্ত্র খুলে ফেলার নির্দেশ দেয় সে। কিন্তু কেন? হঠাৎ করেই বা এরকম অলুক্ষণে কান্ড ঘটানোর কারণ? তাও আবার ঋদ্ধির মত মানুষ এই ধরনের কিছু করতে পারে!
খড়িকে মুখে আজেবাজে কথা বললেও তাকে নিয়ে বেজায় চিন্তায় থাকে ঋদ্ধি। ভুল করেও তাঁর কাছে কেউ ঘেঁষতে চাইলে হাজারো প্রশ্নের ঝড় তোলে। বিপদের শেষ নেই। এরই মাঝে চরম কাজকর্ম করে চলেছে বনি। শাড়ি পরে মাথায় ঘোমটা দিয়ে সে জলখাবার বানাতে ব্যস্ত! এখন কোনদিকে বাঁক নেয় সব সম্পর্ক সেটাই দেখার।