টেলিভিশনের পর্দায় মহালয়া নিয়ে শোরগোল নেট দুনিয়ায়। প্রোমো দেখার পর থেকেই বেশিরভাগই এমন মন্তব্য করেছিলেন, যে আদৌ এসবের কোনও মানে হয়! সকাল হতেই চ্যানেলে নাচ গান এই নিয়েও নানান কথা শোনা গিয়েছিল। আর এবার টিভির পর্দায় এহেন মহালয়া দেখে রেগে আগুন ঝিলাম গুপ্ত।
Advertisment
মহালয়ার অনুষ্ঠান হচ্ছে নাকি নাচের স্কুল, শুরুতেই ঝিলাম বলেন "আমায় আপনারা কেউ ক্ষমা করবেন না কারণ এই যে এখন আমি অসুস্থ বোধ করছি তার কারণ আমি নিজেই। সকালে উঠে চ্যানেল ঘুরিয়ে যেচে পড়ে এই কাজ আমি করেছি। কিন্তু এটাই বুঝতে পারলাম না যে সবাই নাচছে কেন? অসুর থেকে শুরু করে কেউ বাদ নেই। এমনকি সিংহও কিন্তু বাদ নেই"। ঝিলামের বক্তব্য, "যেখানে মহিষাসুরের একধরনের ব্যক্তিত্ব থাকা উচিত সেখানে তাঁকে এই ক্ষেত্রে বলদাসুর বলা যেতেই পারে। যে হারে তিনি নাচছেন কেউ বলবে না যে উনি মারা যেতে চলেছেন, এত পুলক কোথা থেকে আসে"।
অসুর নাকি বেঁকে বেঁকে হাঁটছেন, তাকে দেখে বিন্দুমাত্র ভয় পাওয়া তো দুর অসুরের মত মনেই হচ্ছে না। এখানেই শেষ নয়। এবারের মহালয়া অনুষ্ঠানে VFX এর সাহায্য নিয়েছে বহু চ্যানেল। একটি নয়, পাল পাল সিংহকে উড়তে পর্যন্ত দেখা গেছে। সেই বিষয়টিকে উল্লেখ করে ঝিলাম বললেন, "এত সিংহ আলিপুর চিড়িয়াখানায় নেই, কোথা থেকে পেলেন বলুন"? প্রতিবার, একই ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে কী আনন্দ পাওয়া যায় ঝিলামের কথায় বিরক্তি এক্কেবারে পরিষ্কার।
একদিকে মহাদেব VFX এর মাধ্যমে নাচছেন অন্যদিকে মহাদেব হাউ হাউ করে কাঁদছেন। এই ঘটনায় তাঁকে নিয়ে তীব্র বিড়ম্বনা সৃষ্টি হতে পারে। এর আগেও সম্রাট মুখোপাধ্যায়ের এহেন অভিনয়ে বেজায় চটেছিলেন মহাদেব ভক্তরা। ঝিলামও বললেন একই কথা, "মহাদেব এরকম হয়? তিনি দেবাদিদেব! তাকে নিয়ে এহেন ছেলেখেলা"?
মহালয়ার অনুষ্ঠানে এখন কোনও গল্প নেই। এমনকি হাবিজাবি এই ঘটনা দেখানোর কোনও মানে নেই বলেই দাবি। এহেন স্পেশ্যাল এফেক্ট, মিউজিক ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে হাস্যকর সেই কথাও বাদ গেল না। ঝিলামের সঙ্গে সহমত হয়েছেন বেশিরভাগ। এহেন নাচ গান দেখতে আর তাদের ভাল লাগে না সেই স্বীকারোক্তিও মিলল।