কাঁসর ঘণ্টা বাজিয়ে প্রতিশোধ নিতে চলল লক্ষ্মী কাকিমা। একেবারে হাতেনাতে অপরাধীদের খুঁজে বের করেছে সে। এতদিন চুপ করে থাকলেও এবার আর কোনও ছাড়াছাড়ি নেই। বরং গলা উচিয়ে এবার সত্যি বলার পালা।
Advertisment
প্রমাণ এখন লক্ষ্মীর হাতে! পারিবারিক ষড়যন্ত্রের কারণে সে এবং দেবু দা বাড়ি ছেড়েছে। মেজো ঠাকুরপোর বিরুদ্ধে সমস্ত তথ্য প্রমাণ নিয়ে সে হাজির হয়েছে। সহজ ভাষায় পরিবারের সকলকে সে জানিয়ে দিয়েছে এবার আর চুপ থাকবে না। এবং কথামতই সমস্ত প্রমাণ শাশুড়ি তথা বাড়ির সকলের সামনে এসে তুলে ধরে। মাথা ঠাণ্ডা না রেখেই এবার যুদ্ধে তৈরি সে।
এদিকে হাটে হাঁড়ি ভাঙতেই চোখ কপালে মেজ ঠাকুরপোর। এতদিনের সাজানো খেল সব ভেঙে চুরমার। তাদের একটুও বুঝতে বাকি থাকে না যে, সমস্ত প্ল্যান লক্ষ্মীর দিকে ঘুরে গেছে। এদিকে মাতারানি অর্থাৎ লক্ষ্মীর শাশুড়িও হতবাক। যাদের সে এতদিন ধরে ভুল বুঝল সে নাকি দোষীই নয়।
লক্ষ্মীর সততাই জিতেছে আজ। তাই আর কোনও মিথ্যের অবকাশ নেই। জাল কাগজপত্র তৈরি করে যে মেজ ছেলে তার বড় খোকাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়েছে এ আর বুঝতে বাকি নেই লক্ষ্মীর শাশুড়ির। শেষ হাসি লক্ষ্মীই হাসল।