একসময় বাড়িতে বাড়িতে ঝগড়া লাগত ঠিক একটি কারণেই। টেলিভিশনের পর্দায় তোমায় ছাড়া ঘুম আসে না মা.. আর অন্যদিকে, মায়ের হাত থেকে টিভির রিমোট কেড়ে নেওয়া দায়। নজর কেড়েছিল বছর ছয়েকের মেয়েটা। তিথি বসু... কিন্তু আজ?
Advertisment
দীর্ঘদিন হয়ে গেল সে ক্যমেরার আড়ালে। নিজের ব্লগ চ্যানেলের মাধ্যমেই মানুষের মনোরঞ্জন করেন। কিন্তু সিরিয়ালের থেকে দূরে সরেছেন কেন? এত জনপ্রিয়তা, মায়েদের মনে ঝড় তুলেছিলেন তিনি। এখন কেন ফিরছেন না! নায়িকা হওয়ার যথেষ্ট যোগ্যতা রয়েছে তাঁর। এই প্রসঙ্গেই তিনি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ধারাবাহিকতায় বিশ্বাস করেন না তিনি। অর্থাৎ? নিজের নিজের মালিক তাই...বললেন...
"সিরিয়াল করা মানে সেই দশটা পাঁচটার ডিউটি করা। আমি বাঁধাধরা, গতানুগতিক কাজ করতে ভালবাসি না। তাই জন্যই ব্লগার তিথিকে এগিয়ে নিয়ে যাব। আমি নিজেই এখন নিজের বস। কাজ করতে কেউ বাধ্য করে না।" সিরিয়াল মানেই বছরের পর বছর কমিটমেন্ট। রাত ৯-১০টায় প্যাক আপ, আবার সকাল হতেই দৌড়ানো। একঘেয়ে জীবন সকলের পছন্দ নাই হতে পারে। কিন্তু তাঁর কারণ এখানেই শেষ নয়। জীবনে ঘটে গেছে এক মারাত্মক ঘটনা।
"তিথি বললেন, আমার আইসিএসই পরীক্ষার ঠিক আগেই বাবা মায়ের মধ্যে ডিভোর্স হয়। আমি তখন ভেঙে পড়েছিলাম। কী করব বুঝতে পারছিলাম না। সে এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতি।" স্কুলের মাইনে দেওয়া, জীবন চালানো মুশকিল হয় হয়েছিল। বাবা ছেড়ে চলে যাওয়ার পর সবকিছু যেন ধোঁয়াশায় ঢেকে গেল। অভিনেত্রীর কথায়, তখন যদি সিরিয়াল করতাম, লেখাপড়া করতে পারতাম না। তাই, লেখাপড়াটা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন ছিল। ব্লগিং সত্যিই বেশ ভাল অপশন দিয়েছিল।
উল্লেখ্য, মাঝেমধ্যেই তাঁকে টলিপাড়ার নানা অনুষ্ঠানে দেখা যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সক্রিয়। তিনি একা নন, পটল কুমার হিয়াও বেশ অনেকদিন নিজেকে পর্দা থেকে সরিয়ে রেখেছেন। কবে ফিরবেন, সে সম্পর্কেও জানান নি কিছুই। যদিও, তিথি নিজের ব্লগে বেশ রেগুলার।