Advertisment

'রবীন্দ্র সঙ্গীত কোনও ছেলেখেলা নয়', মীরের গান শুনতেই রেগে আগুন দর্শকরা

রবীন্দ্র সঙ্গীত গেয়েই বিপাকে মীর

author-image
IE Bangla Entertainment Desk
New Update
NULL

মীর

রবীন্দ্র সংগীতের সঙ্গে বাঙালির নাড়ির যোগ। ছোট থেকেই ঠাকুর হিসেবে রবি ঠাকুরকে বাঙালি পুজো করে আসছেন। তাঁর গান - গল্প - উপন্যাস কিংবা প্রবন্ধ, মানুষের মনে গেঁথে আছে সবকিছুই। আর সেই রবীন্দ্র সঙ্গীত গেয়ে বেজায় ট্রোল মীর।

Advertisment

সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে তাঁর নিজস্ব ব্যান্ড ব্যান্ডেজের সঙ্গদে রবীন্দ্র সংগীত গাইলেন মীর। তোমার খোলা হাওয়া লাগিয়ে পালে, এই গানেই সুর ধরলেন মীর। আর তারপরেই বেজায় চটলেন দর্শকরা। মীরের কণ্ঠ কিংবা তাঁর রেডিও উপস্থাপনা নিয়ে কোনও প্রশ্নই তোলেন না যারা আজ আঙ্গুল তুললেন শিল্পীর দিকে। রবি ঠাকুরের গান তাও আবার এহেন সুর তালের গরমিল - যেন মেনে নিতেই পারছেন না দর্শকরা।

সহজ সোজা ভাষায় তাঁরা জানিয়ে দিলেন, লোক হাসানো আর রবীন্দ্র সঙ্গীত গাওয়া এক কাজ নয়। কমেডি কিংবা রেডিওর দুনিয়ায় আপনি থাকছেন স্যার হলেও রবি ঠাকুরের গান নিয়ে ছেলেখেলা তাঁরা মানতে নারাজ। কেউ তাঁর সুরে খোঁটা দিলেন আবার কেউ স্পষ্ট বললেন, নিজেকে সব বিষয়ে ওস্তাদ ভাবা কাম্য নয়। রবীন্দ্র সঙ্গীত গাইতে হলে সাধনা অধ্যবসায় দরকার। আপনার কাছ থেকে এটা আশা করি নি।

publive-image

সুরের বিকৃত উপস্থাপন! সবকিছু সবার জন্য না! এই মন্তব্যই নজরে পড়ল বেশি। রবি ঠাকুরের গান বাংলা তথা ভারতবাসীর কাছে আবেগ, অমূল্য সম্পদ। তাঁর সংরক্ষণ ঠিকভাবে হচ্ছে না। মীরের মত কিছু মানুষের গানের চোটে আজকে বাংলার সংস্কৃতি এবং শিল্প হারিয়ে যাচ্ছে বলে দাবি করেছেন। রবীন্দ্র সঙ্গীত গাওয়ার আগে ভাবনা চিন্তা করা উচিত, এত সহজ না। মীরের দরাজ কণ্ঠস্বরের প্রেমে পড়েই মহালয়ার দিন বেশিরভাগ দাবি করেছিলেন, চণ্ডীপাঠ শুনতে চাই। তাতেও শিল্পী জানিয়েছিলেন এ সহজ না, কখনোই সম্ভব নয়।

সারাদিনে রবীন্দ্র সংগীত গুনগুন করে থাকেন বেশিরভাগ মানুষ। তাই সুর সঠিকভাবে না লাগাতে পারলেও, সেই সুর কানে বাজতে থাকাই স্বাভাবিক। রবি ঠাকুরের যেকোনও উপস্থাপনা একটু এদিক থেকে ওদিক হলেই বাংলার মানুষ বেজায় ক্ষেপে যান। মীরের ফ্যানরাও কিন্তু বাধ সাধলেন। বললেন, মীরের ফ্যান হতে পারি কিন্তু এটা মীরাক্কেলের স্টেজ নয় এটা মাথায় রাখতেই হবে।

Mir Afsar Ali Entertainment News
Advertisment