হাজারো সমস্যা নিজেদের চলার পথে। ষড়যন্ত্র এবং দুষ্টের প্ল্যানিং এর জেরে ছারখার মিঠাই-সিদ্ধার্থর জীবন। কিন্তু কোনোভাবেই তারা পিছিয়ে যাওয়ার নয়। বরং, একযোগে লড়াই জারি রেখেছে তারা।
মিষ্টির সঙ্গে বহু পুরোনদিনের যোগ তাদের। কিন্তু এতদিন সেই মিষ্টির প্রতি উচ্ছে বাবুর কোনও আগ্রহ না থাকলেও এখন সেই মিষ্টিই তাঁর বাঁচার উপায়। একেতেই তদন্তের জেরে বাড়িঘর, টাকা পয়সা, থেকে গয়নাগাটি সবকিছুই ফ্রিজ করা হয়েছে। খিদে পেলে খাওয়ার সামর্থ্য এখন নেই। কিন্তু মিঠাই যে তুফানমেল, তাকে আটকে রাখার সাধ্য কার আছে?
মিঠাইয়ের বুদ্ধিতেই তার সঙ্গ দিল সিদ্ধার্থ। পরিবারকে বাঁচানোর লড়াইয়ে নেমেছে তারা। অনলাইনে মিষ্টি বিক্রি করছে তারা, শুধু তাই নয় বাড়ি বাড়ি পৌঁছেও দিচ্ছে সেই মিষ্টি। পরিশ্রম কম হচ্ছে কই, কিন্তু পেটের দায়ে সারাদিন এসি ঘরে বসে কাজ করা সিদ্ধার্থ আজ রাস্তার ধারে বেঞ্চে বসে দুপুরের খাবার খাচ্ছে! অবিশ্বাস্য হলেও এই ঘটনাই সত্যি।
আরও পড়ুন < ‘সেক্স করেই যৌবন ধরে রেখেছি..’, অনিল কাপুরের কথা শুনে ‘থ’ করণ! >
এদিকে, মোদক বাড়িতে কিছুদিন আগেই গিয়েছিল মিঠাই আর সিদ্ধার্থ। যেখানে প্রমীলার লোকেদের অবাধ আনাগোনা দেখেই চোখ কপালে তাঁর। আর বুঝতে বাকি নেই, যে এসবের পেছনে প্রমীলা লাহাই। সে মুখোশধারী, জায়গা ভেদে ভিন্ন কথা বলছে। তাই নিজেদের বাড়ি ফিরে পাওয়ার জেদ আরও বেড়ে গেছে তাদের। কিন্তু রেহাই নেই প্রমীলার। তার এক সাগরেদ শ্রীঘরে। এবার শুধু জেরা করার পালা।
প্রমীলা লাহার ষড়যন্ত্র ফাঁস করতেই যেন উঠে পড়ে লেগেছে তারা। তার সঙ্গে রয়েছে আদিত্য আগরওয়াল নিজেও। এদিকে দুই মাস্টারমাইন্ডকে ধরার একটা সুযোগ খুঁজে চলেছে মিঠাই আর সিদ্ধার্থ। মনোহরার ভাগ্য কোনদিকে এটাই দেখার।