ছোট শহর থেকে উঠে এসে অভিনয় করা এবং নিজেকে অভিনেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার লড়াই যে কি সাংঘাতিক, তার মধ্যে দিয়ে যারা গিয়েছেন তারাই জানান। জলপাইগুড়ি থেকে কলকাতার রাস্তা একেবারেই সহজ ছিল না নিম ফুলের মধুর তিন্নি অর্থাৎ নবনীতার কাছে।
অনুমতি ছিল না অনেককিছুর। কিন্তু বাবা মায়ের ভরসা এবং আদরের কারণেই সবকিছু জয় করেছেন তিনি। টেলিভিশনের পর্দায় কাজ করেছেন প্রায় অনেকগুলো ধারাবাহিকে। আজ, সবকিছু পেয়েই বাবা মায়ের জন্য মাথার ওপর ছাদ বানিয়ে দিতে চান তিনি। কিভাবে শুরু হয়েছিল পথ চলা? জানালেন নিজের মুখেই।
আরও পড়ুন < রিসোর্টে যাওয়ার কুপ্রস্তাব দেন চিত্রনাট্যকার! রাজি না হতেই যা হল দর্শনার সঙ্গে… >
তথাকথিত, নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে তিনি। সাদামাটা জীবন যাপন করেই বড় হয়েছেন। জলপাইগুড়ি থেকে কলকাতায় এসে অভিনয় করবেন যেন ভাবতেই পারেননি। ইচ্ছে ছিল ড্যান্সার হওয়ার। প্রতিকূলতা ছিল, তবে বুঝতে দেননি বাবা - মা। সঙ্গে নিয়ে গিয়ে অডিশন দেওয়ানো থেকে শুরু করে মেয়েকে মর্ডান তৈরি করার পেছনেও তাঁদের অবদান ছিল। নবনীতা বললেন, "অনেককিছু অসম্ভব ছিল। আমাদের এখানে ছোট জামা পড়া যেত না। কিন্তু আমার বাবা আমায় জিন্স কিনে দেন। অমর ঠাকুরদাদা আমায় ভীষণ ভালবাসতেন কিন্তু আমি সাইকেল চালাবো এগুলো ঠিক পছন্দ ছিল না। আমার বাবা কিন্তু আমায় সেই স্বাধীনতা দিয়েছিলেন।"
ছোট থেকেই অভাবের মধ্যে বড় হলেও সেটা বুঝতে পারেননি কোনোদিন। দুটো সংসার সমানভাবে চালাচ্ছেন তিনি। কলকাতায় নিজের আস্তানার সঙ্গে সঙ্গে জলপাইগুড়ির বাড়ির প্রতিও সমান ভাবে কাজ করে চলেছেন। বাবা মাকে গড়ে দিচ্ছেন নিজের বাড়ি। তাঁরা যেখানে থাকবেন সেখানেই তাঁর বাড়ি।