রচনা বন্দোপাধ্যায় নাকি এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছেন তাঁকে সেখান থেকে অন্যত্র ডাকা যাচ্ছে না। তিনি, নিজেকে যেখানে নিয়ে গিয়েছেন, অন্যরা তাঁকে বাড়িতে আমন্ত্রণ জানাতেও ভয় পাচ্ছেন। অন্তত, এমনটাই মনে করেন ঋ।
Advertisment
দীর্ঘ এতবছর কাজ করছেন ইন্ডাস্ট্রিতে। শেষ কিছু বছর তাঁর পরিচয় তিনি দিদি নম্বর ওয়ান। অনেকেই বলেন, রচনা ঠিক আগের মতই নিজেকে ধরে রেখেছেন। আগের মতই সুন্দরী রয়েছেন তিনি। কিন্তু, দিন বদলের সঙ্গে সঙ্গে আস্তানা পাল্টেছে তাঁর। সঞ্চালিকা - ব্যবসায়ী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এখন প্রসাধনীর দুনিয়াতেও পা রেখেছেন তিনি। দিদি নম্বর ওয়ান তো বটেই, তাঁর সঙ্গে এখন তিনি আর্বানার বাসিন্দা।
শহর কলকাতার দামী সোসাইটির বুকে তাঁর বাড়ি। তাই, টলিউড থেকে আমন্ত্রণ পাচ্ছেন না? দিদি নম্বর ওয়ানের মঞ্চেই খোলসা হল এই সত্যির! ঋ, টলিপাড়ার অন্যতম অভিনেত্রী। তাঁকে যেইমাত্র রচনা জিজ্ঞেস করলেন, "তোর বাড়িতে যে তুই আমাদের ডাকবি বলেছিলি, কী হল?" প্রশ্ন শুনে এক মুহূর্ত দেরি নয়। সোজা ঋ বলে বসলেন, "তুমি এমন জায়গা থেকে এখন বিলং করো যে আমি তোমায় ডাকব এটা ভাবতেই পারি না।" শুনে রীতিমতো থ রচনা। জানতে চাইলেন, "কোথা থেকে বিলং করি বল?" এবারই অভিনেত্রী বললেন, "এই যে আর্বানাতে থাকো, এত বড় পেন্টহাউস তোমার।"
ব্যাস! একথা শুনেই মাথায় হাত রচনার। পেন্টহাউসে থাকেন রচনা সত্যিই? দিদি নম্বর ওয়ানের দাবি, "এটা আমার কাল হয়েছে। কাল হয়েছে এটা আমার। আর হ্যাঁ, দেব থাকে পেন্টহাউসে, আমি না।" তাহলে কি রচনাকে রীতিমতো পয়সা তুলে খোঁচা দিলেন ঋ? একটু হলেও ঠিক তেমনটিই। দেবের প্রতিবেশী তিনি এখন।
প্রসঙ্গত, সঞ্চালনার পাশাপাশি শাড়ির ব্যবসা শুরু করতেই তাঁকে লোকজনের রোষানলে তাঁকে পড়তে হয়। লোকজন তাঁর মত একজন পাবলিক ফিগারের ব্যবসা করতে শুরু করাকে ভাল চোখে নেননি। তাও, থেমে থাকেননি রচনা। বিতর্ককে কানমুলে দিয়েছেন ভাল করে।