ছেলেমেয়ে বড় হলে তাঁদের সঙ্গে বাবা মায়ের দূরত্ব একটু হবেই। জেনারেশন গ্যাপ হোক কিংবা ব্যস্ততা, কথাবার্তা যেমন কিছুটা হলেও কমে ঠিক তেমনই নিজেদের সঙ্গে সময় কাটানোর মুহূর্ত বেড়ে যায়। বিশেষ করে পুত্র সন্তানের সঙ্গে মায়ের সম্পর্ক, অনেকটাই অন্যরকম। কথায় বলে, মেয়েরা বাবাদের প্রিয় হয় এবং ছেলেরা মায়ের। ছেলের সঙ্গে সময় কাটানো হয় না রচনা বন্দোপাধ্যায়ের। সেই দুঃখই জানালেন মঞ্চে।
Advertisment
ছেলেকে ছোটবেলায় সঙ্গ দিতে পারেননি রচনা। সেই কথাও নিজেই জানিয়েছেন। বড় হয়ে তাঁর ছেলে আর দুষ্টুমি করে না, শুধুই বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটায় এই নিয়েও তাঁর দুঃখ কম নেই। তবে এবার দিদি নম্বর ওয়ানের মঞ্চে ছেলেকে একরকম থ্রেট দিলেন তিনি। কিন্তু কেন? সানডে ধামাকার পর্বে হাজির হয়েছিলেন টলিপাড়ার অল্প বয়সী হিরোরা, সঙ্গে ছিলেন তাঁদের মায়েরাও। সেখানেই রচনা জিজ্ঞেস করে বসেন, "টিনএজ ছেলেদের সামলানোর একটু টিপস বলুন না"।
এই প্রশ্ন শুনেই অভিনেতা সোহেলের মা বলে ওঠেন, "আমি তো রাত্রিবেলা ওর ঘরেই থাকি"। কিন্তু রচনা? তিনি বললেন, "আমি তো চাইলেও ও আমায় ওর ঘরে ঢুকতে দেয় না"। তবে, নিজেকে সামলে নিলেন পরের কথাটা শুনেই। সোহেল যেই মুহুর্তে বললেন যে ওর মনে ফুল ফুটেছে তখনই চক্ষু চড়কগাছ রচনার। সব কিছু বোঝার শোনার পর বলে বসলেন, "তাঁর মনে রাত্রিবেলা গিয়েই ওদের ফোন দেখতে হবে"। সোজাসুজি হুমকি দিলেন ছেলেকে, "এই রৌনক আমি আজ রাতে আসছি তোর ফোন চেক করতে"!
যদিও সম্পূর্ন ঘটনা তিনি মজার ছলেই ঘটিয়েছেন। তবে ছেলেমেয়ে বড় হলে একটু চিন্তা তো থেকেই যায়। তাঁদের কড়া নজরে বড় করতে হয়। বেশ কিছু বিষয়ে নজর রাখাও খুব স্বাভাবিক। রচনার হুমকি সিনে হেসে গড়ালেন বাকি সকলে। মা হিসেবে যদিও বেশ স্ট্রিক্ট রচনা। ছেলের দিকে তাকিয়ে আজ পর্যন্ত বিবাহ বিচ্ছেদ পর্যন্ত হয়নি তাঁদের। এর আগে একবার মায়ের শোয়ে হাজির হয়েছিলেন প্রণিল অর্থাৎ রৌনক। এখন আপাতত ছেলেকে নিয়ে ছুটি কাটাতে ব্যস্ত তিনি।