টেলিভিশনের ইতিহাসে এক বিরাট বদল। দীর্ঘ ১৭ বছরের পথ চলা শেষ। শেষ রান্নাঘরের শুটিং। জি বাংলার এই শো শেষবারের মত সম্প্রচারিত হবে ডিসেম্বরেই। তারপর?
Advertisment
সেদিন শোয়ের একচ্ছত্র আধিপত্যের অধিকারী সুদীপা চট্টোপাধ্যায় নিজেই এসেছিলেন লাইভে। জানিয়েছিলেন শেষবারের মত শুটিং করছেন জি বাংলার রান্নাঘরের। ৩১শে ডিসেম্বর এই শো শেষবারের মত সম্প্রচারিত হবে। বিকেল হতেই নতুন সব রেসিপি, তাঁর সঙ্গে মাঝেমধ্যেই কম্পিটিশন লেগে থাকত। সবকিছুই যে মিস করতে চলেছেন বাংলার দর্শকরা একথাও বলা যায়। কিন্তু এ প্রসঙ্গে কী বলছেন সুদীপা নিজে?
এতবছর একসঙ্গে পথচলা। মন খারাপ হওয়া খুব স্বাভাবিক। কিন্তু তারপরেও হাসিমুখে সমস্ত দিন শুটিং করেছেন সুদীপা। শুটিং ফ্লোরে খাবার দাবারে ভর্তি, যে যার নিজের কাজে ব্যাস্ত। আর সেইসব মুহূর্তও দর্শকদের সামনে তুলে ধরলেন সুদীপা। এদিকে সেইদিন উপস্থিত ছিলেন, কাঞ্চন মল্লিক এবং শ্রীপর্ণা। রান্নাঘরের সেট আর রান্না হবে না এও আবার হয় নাকি? তবে অভিনেত্রী এক সংবাদমাধ্যমে জানান, বিন্দুমাত্র তাঁর কোনও অভিযোগ নেই। অনেক ছোট থেকে শুরু হয় এই অনুষ্ঠান তারপর এই সাফল্য। শেষদিন হাসিমুখে ফিরেছেন সুদীপা।
শুটিং ফ্লোরে মিষ্টি, নোনতা খাবার থেকে শুরু করে প্যান্ডেল, সুদীপা জানান মনে হচ্ছিল যেন উৎসব লেগেছে। এছাড়াও কাঞ্চনের মশকরা তো রয়েছেই। সব মিলিয়ে এক অসাধারণ অনুভূতি। শোনা যাচ্ছে, এবার রান্নাঘরের জায়গায় আসতে চলেছে ইন্দ্রানী হালদারের নতুন একটি শো। এখন এই শো আদৌ দর্শকদের মনে জায়গা করে নিতে পারে কিনা সেই দেখার।
যদিও বা কিছু মাস আগেই ডেলিভারি বয়কে নিয়ে একট বিতর্কিত মন্তব্যের জেরেই এই শোয়ের TRP গিয়ে পৌঁছেছিল একদম তলানিতে। গুজব শোনা গিয়েছিল, তড়িঘড়ি নাকি শেষ হতে চলেছে এই শো। তাতেও জল ঢেলেছিলেন সুদীপা। তবে, শুরু যখন হয়েছে শেষ তো হওয়ার ছিলই।