রুকমা রায়ের খানাকুল বিতর্ক তুঙ্গে। অভিনেত্রীকে অযাচিত কারণবশত হ্যাটা করা হয়। শো করতে গিয়েই বিরাট বিপদে পড়েন অভিনেত্রী। আয়োজকদের তরফে খারাপ আচরণ করা হলেও সেদিন প্রায় মিনিট ২০ব্যাকস্টেজে বসে ছিলেন তিনি।
ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর প্রথমে রুকমার দিকে আঙুল উঠলেও পরে সমস্ত ঘটনা জানার পর অভিনেত্রীর পাশেই দাঁড়িয়েছেন তাঁরা। সেলফি তোলার অপরাধে এহেন হেনস্থা! একজন মেয়ের সঙ্গে অভব্য আচরণ! অভিনেত্রীর কাছে অবশেষে ক্ষমা চেয়েছেন সেই ব্যক্তি অর্থাৎ আয়োজক। কিন্তু, তাতেও শেষ কিছুদিনের বিভীষিকা ভুলতে পারছেন না রুকমা। অভিনেত্রীর কথায়, ক্ষমা চাইলেই হল?
সেই ব্যক্তির অপমান আজও ভুলতে পারছেন না রুকমা। বারবার একই কথা বলছিলেন সেই ব্যক্তি। ক্ষমা চাইবেন না, চল গেলে চলে যাক। কিন্তু, সেই আয়োজক আজ ক্ষমা চাইলেও রুকমার বক্তব্য ঠিক এমনই... "ক্ষমা চাইলেই সব শেষ হয়ে গেল? রাগ হলে যা কিছু করা যায়? মানুষ খুনও করা যায়? আমার ওপর এই চারদিন যা ঝড় গিয়েছে। কত বাজে মন্তব্য শুনেছি।"
আরও পড়ুন < চাঁদিফাটা গরমে শুটিং, তীব্র দহনে নাজেহাল অবস্থা, ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা ‘ব্যোমকেশ’ দেবের! >
কী ঘটেছিল আসলে?
অভিনেত্রী সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, রাস্তায় যানজটের কারণে সামান্য দেরি হয়েছিল তাঁর। অনুষ্ঠানে পৌঁছাতে পৌঁছাতে রাত ১১টা বেজে যায়। তাঁর কথায়, “যেখানে অনুষ্ঠান হচ্ছিল সেই রাস্তা এতটাই সরু ছিল যে বলার কথা নয়। অনেক আগেই নেমে যেতে হয় গন্তব্যের আগে। তাঁর থেকেও বড় কথা, আমায় হেঁটে বাইকের পেছনে বসে যাওয়ার কথা বলায় আমি রাজি হইনি। তাতেও অনেকটা সময় নষ্ট হয়। মঞ্চে ওঠার পর, সংবর্ধনা অনুষ্ঠান, গান এসব মিটিয়ে সেলফি তোলার অনুরোধ কম ছিল না। এরকম অনেকগুলো সেলফি তুলতে তুলতেই ক্ষেপে ওঠেন আয়োজক। চিৎকার করে বলতে থাকেন, বিজ্ঞাপনের জন্য আপনাকে আনা হয় নি। অনুষ্ঠান করলে করুন নয়তো মঞ্চ নেমে যান।”
তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন অনেকেই। অনুরাগীরা এমনকি বন্ধু রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, সারা বছরে অনেক শো করেন রুকমা। কিন্তু একদিনের জন্যও অপেশাদার হতে তাঁকে দেখা যায় নি।