সব্যসাচী ফিরছেন টেলিভিশনের পর্দায়। দীর্ঘদিন নিজেকে আড়ালে রেখেছিলেন কাছের মানুষের ঐন্দ্রিলার চলে যাওয়ার পর। তবে, এখন একরকম তাঁর বড়মার আশীর্বাদেই নিজেকে ফিরিয়েছেন চেনা ছন্দে। রামপ্রসাদ হিসেবে যাত্রা শুরু, কিরকম লাগছে সব্যসাচীর?
Advertisment
প্রথমে বামাক্ষ্যাপা তারপর রামপ্রসাদ, সাধক চরিত্রে দারুণ প্রশংসা পেয়েছেন সব্যসাচী। কিন্তু রামপ্রসাদ সেন যে সাধক হলেও একটু ভিন্ন। সংসারে থেকে মা কালীর আরাধনা করতেন তিনি। নিজেই শ্যামাসঙ্গীত লিখতেন, সুর করতেন। সহজ কথায় অনেকেই মায়ের ব্যাটা বলেও তাঁকে জানেন। এবার নিজের চরিত্র নিয়েই মুখ খুললেন সব্যসাচী। বললেন, "এই ধারাবাহিকে দেখানো হবে রামপ্রসাদ সেনের সম্পূর্ন অন্যদিক। তিনি কেন আলাদা ছিলেন, তিনি সাধক একথা যেমন সত্য তেমনি তাঁর সংসার - সন্তান সবকিছুই ছিল। গান গাইতেন, কবি ছিলেন সকলেই তাঁর গানে মুগ্ধ হতেন"।
মা কালীকে উপলব্ধি করা যায় রামপ্রসাদি গানে। এই গান গাওয়ার সাধ্য সকলের নেই। চরিত্রের প্রয়োজনে, নিজেকে একেবারে পাল্টে ফেলেছেন তিনি। দাঁড়ি গোঁফ কেটে সম্পূর্ন ভিন্ন মানুষ। সব্যসাচী বললেন, "সংসারে থেকেও যেভাবে তিনি মাতৃশক্তিকে খুঁজে পেয়েছেন, মায়ের আশীর্বাদ পেয়েছেন..সেটাই পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তুলে ধরা হবে এই ধারাবাহিকে। সেট সাজানো হয়েছে সেসময়ের মতোই। শুটিংয়ে বিন্দুমাত্র ফাঁক নেই। ১৭০০ সালের প্রেক্ষাপটে তৈরি হচ্ছে এই ধারাবাহিক"।
সব্য বললেন, "প্রত্যেকে এই ঠান্ডায় যেভাবে কাজ করছেন, ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। আমার তো একসময় মনে হচ্ছে, ১০০ বছর পিছিয়ে গেলাম"। যদিও এখনও এই ধারাবাহিকের টাইম স্লট দেওয়া হয়নি, তবে যথেষ্ট উদগ্রীব দর্শকরা।
উল্লেখ্য, ধারাবাহিকে মা কালীর ভূমিকায় দেখা যাবে পায়েল দে-কে। আবারও একবার বাংলার ঘরে ঘরে সাধক রামপ্রসাদ হয়ে ওঠার পালা সব্যর। দাঁড়ি-হীন সব্য ঐন্দ্রিলার এক্কেবারেই পছন্দ ছিল না। সেখানে একদম ক্লিন শেভ! ঐন্দ্রিলার বিপরীতে গিয়েছেন সব্যসাচী। এখন চরিত্রের সঙ্গে কতটা নিজেকে ফুটিয়ে তুলতে পারেন সেটাই দেখার।