প্ল্যানিং করেই অরিন্দম নোলক কে ফাঁসিয়েছে রোহিণী। এই কারণেই বিয়ের পিঁড়ি থেকে অরিন্দমকে তুলে নিয়ে গেছে পুলিশ। একেবারেই মুখে আঙ্গুল দিয়ে বসে থাকার পাত্রী সে নয়। সুযোগ বুঝেই এবার রোহিণীকে কোপ দিল সে।
আদিত্যর সঙ্গে রোহিণীর বিয়ের পর থেকেই রায় বাড়িতে সমস্যা লেগেই রয়েছে। সেই বাড়িতে রোহিণীর বধূবরণের নিয়মেই এবার খেল দেখানোর পথে নোলক। বাড়িয়ে বড় বউ হিসেবে রোহিণী কে বরণ করার অধিকার তার একশোবার আছে। সেই বুদ্ধি কাজে লাগিয়েই সে এবার মোক্ষম জবাব দেয় রোহিণীকে। যদি না উকিল বাবু বাড়ি ফিরে আসে তবে রোহিণীর বধূ বরণও হবে না – এই শর্ত রাখে সে সকলের সামনে।
তার এই কথা শুনে চোখ কপালে বাকি সবার। আজই অরিন্দমকে জামিন করিয়ে বাড়ি নিয়ে আসতে হবে, তবেই এই বাড়িতে ঢোকার সুযোগ পাবে সে। এদিকে তার এই দাবি শুনে বাড়িয়ে সকলেই যথেষ্ট খুশি। আদিত্য নিজেও মনে মনে ভীষণ প্রসন্ন। মুখের জেতার হাসি খেলে গেল অরিন্দমের মায়ের মুখে।
কিন্তু রোহিণীর অবস্থা একেবারেই কাহিল। মহা ফ্যাসাদে পড়েছে সে। কী করবে কিছুই ভেবে পাচ্ছে না। দুদিকেই বিপদ! মায়ের পরামর্শও সকলের সামনে নিতে পারছে না সে। এখন কোনদিকে সে এগোবে সেটাই দেখার।