সংসারে সামর্থ যার, জোরও তার - আসলে বাস্তবিক জীবনেও এইরকম অবস্থার ঝলক মেলে নানান জায়গায়। একটা পরিবারে হাজার রকমের মানুষ থাকে। কেউ একটু চুপচাপ আবার কেউ কেউ নিজের ক্ষমতার প্রদর্শন করেই সুখে থাকতে ভালবাসেন। আর সেই ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ জানানোই আসল ব্যক্তিত্বের পরিচয়। আর ক্ষমতার প্রভাবকে তুচ্ছ করে এগিয়ে যাওয়াই লক্ষ্য নবাব আর নন্দিনীর।
Advertisment
বাড়ির বড় বউয়ের তেজ আর ধমকে সারাদিন তটস্থ থাকেন সকলে। একমাত্র তার কথায় বিন্দুমাত্র যায় আসে না বাড়ির ছোট ছেলে নবাবের। তাকে মুখের ওপর যা খুশি সে বলে দিতে পারে। বাড়ির কেউই বড় বউয়ের এই অহংকার এবং তেজী মনোভাব পছন্দ করেন না, তবে জলে থাকলে কুমিরের সঙ্গে বাদাবাদি করা একেবারেই ঠিক নয়। এ তো গেল বাড়ির লোকের কথা। আসল গল্প তো সেখানে শুরু, যখন নন্দিনীর একটা জবাবেই জব্দ হয়ে যায় অহং বোধে ভাসতে থাকা গীতবিতানের বড় বউ। তার একটাই কথা, সে অফিসের কাজে এসেছে। তার সেবা করতে কিংবা পার্সোনাল কাজ করতে নয়।
একজন সামান্য কর্মচারীর মুখে এই কথা শুনেই রেগে আগুন সে। এত বড় স্পর্ধা নন্দিনীর? এদিকে তার এই জবাবেই বাড়ির সকলে আপ্লুত। চাকরি করে নন্দিনী, চামচাগিরি করতে একেবারেই পছন্দ করে না। নন্দিনীকে দেখতেই যেন মনের মত একজন মেয়ে পেয়ে গেল নবাবের মা। বড় বৌমা কে টেক্কা দিতে গেলে ঠিক এইরকম একজন মেয়ে কেই সে চায়।
দুর্দান্ত ফুটবলার নবাব আর হার না মানা নন্দিনী কী পারবে পরিবারে শান্তি ফিরিয়ে আনতে? একচেটিয়া আধিপত্য কী ভেঙে চুরে গুড়িয়ে যাবে - সেই নিয়েই আসছে নবাব নন্দিনীর প্রেমের গপ্পো।