ফুড ডেলিভারি বয়কে নিয়ে চরম মন্তব্যের জেরেই নেটিজেনদের কটাক্ষের শিকার হয়েছিলেন সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। এমন কি তাকে বিকারগ্রস্থ বলতেও দ্বিধা বোধ করেননি কেউই। একজন খাবার ডেলিভারি বয় নির্দিষ্ট লোকেশনে পৌঁছাবার আগে বারবার ফোন করেন, বাড়িয়ে দরজা খুলতে বলেন সেই নিয়েই বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন সুদীপা।
আর এই ঘটনার জেরেই সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড়। একজন অভিনেত্রী সঞ্চালিকা হয়েও এহেন ভাবনা চিন্তা! সাধারণ মানুষ তো বটেই তার সঙ্গে বিধেছিলেন তারকাদের অনেকেই। এমনকি তার এই ঘটনার জেরেই জি বাংলার রান্নাঘরের TRP কমে ১.৬ এ পৌঁছে যায়। সুদীপা কী বাদ পড়ছেন রান্নাঘর থেকে? তাঁকে আর পছন্দ করছেন না দর্শকরা? প্রশ্ন উঠছিল অনেকই। কিন্তু এসবেই জল ঢাললেন সুদীপা। আপাতত জি বাংলা থেকে সরছেন না তিনি।
সুদীপার জায়গায় রান্নাঘরে আসছেন অপরাজিতা! এই নিয়ে শোরগোল কম হয়নি। কিন্তু এ বিষয়ে আপাতত কিছুই জানেন না সুদীপা। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "এই সম্পর্কে কিছুই জানি না। একেবারেই গুরুত্ব দিই না। আমার কাছে এই নিয়ে কোনও খবর নেই। এমনকি জি বাংলার তরফেও কিছু জানানো হয়নি। এই ধরনের খবর একেবারেই যুক্তিযুক্ত নয়"।
আরও পড়ুন < ‘আমি কোনও দুর্নীতি করিনি..’, গায়ে কাদা লাগার প্রশ্ন উঠতেই পাল্টা মিমির >
শুধু তাই নয়, অভিনেত্রীর বক্তব্য - আগামী অনেকদিনের শুটিংও শেষ। প্রায় চতুর্থী অবধি শুটিং শেষ করেছেন তিনি। এসব গুজব না ছড়ালেই ভাল বলে মনে করছেন অভিনেত্রী। যদিও এই বিতর্কে লম্বা বিবৃতি দিয়ে ক্ষমা চেয়েছিলেন সুদীপা। দাবি করেছিলেন সুইগিতে ফোন না করার অপশনও আছে। অযথা অসময়ে তাদের ডেলিভারি বয়রা ফোন করে, এটা সত্যিই বিরক্তির।
তার হয়ে আওয়াজ তুলেছিলেন স্বামী অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়ও। এই ঘটনার জেরেই বিবাদে জড়িয়েছিলেন শ্রীলেখা মিত্র এবং অরিত্র বণিকের সঙ্গে। সুদীপা বলেন, "আমি যেটুকু বলেছিলাম প্রতিষ্ঠানকে বলেছিলাম। কোনও গরীব মানুষকে অপমান করে কিছুই বলিনি"।