Sunil Pal Reveals The Truth : হিন্দি টেলিভিশনের অত্যন্ত জনপ্রিয় কমেডিয়ান সুনীল পাল। ছোট পর্দায় তাঁর অভিনয় হাসি ফোটায় দর্শকের মুখে। ৩ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার রাতে আচকাই গায়েব হয়ে যান তিনি। পুলিশের দারস্থ হন কৌতুক শিল্পী সুনীল পালের স্ত্রী। শো করতে মুম্বইয়ের বাইরে গিয়েছিলেন। মঙ্গলবারই ফেরার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু, সুনীলের সঙ্গে কোনওভাবেই যোগাযোগ করতে পারছিলেন না তাঁর স্ত্রী। সান্টাক্রুজ থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। সুনীল পালকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ভক্তদের মধ্যে একেবারে শোরগোল। অবশেষে ৪ ডিসেম্বর বুধবার বাড়ি ফিরেছেন কমেডিয়ান সুনীল পাল। এই ঘটনাকে কেউ মনে করছেন পাবলিসিটি স্ট্যান্ট তো কেউ আবার প্রকৃত কারণ জানতে চেয়েছেন।
মুম্বই ফিরে NavbharatTimes-কে পুরো বিষয়টা জানান সুনীল পাল। কী ঘটেছিল তাঁর সঙ্গে। সুনীল পাল বলেন, 'আমি সুস্থভাবে বাড়ি ফিরেছি। আমার কাছে একটি প্রোগ্রামের বুকিংয়ের জন্য ফোন আসে। একটা বার্থডে পার্টির অনুষ্ঠান ছিল। আমার পারিশ্রমিক নিয়ে কথা হয়। ওঁরা আমার পেমেন্টটা খানিক কমাচ্ছিলেন। তারপর আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ডিটেইল চান। অগ্রিম টাকা পাঠিয়ে দেন। সেই সঙ্গে বিমানের টিকিট বুকিংও করে দেন। '
কমেডিয়ানের সংযোজন, 'দাঁড়ভাঙা থেকে আমি দিল্লি পৌঁছাই। ফোনে বলা হল একটি ইনোভা আমাকে পিক-আপ করার জন্য দাঁড়িয়ে আছে। সেই মতো আমি গাড়িতে উঠে বসলাম। কিছুটা দূর যাওয়ার পর হঠাৎ বলা হল আমাকে অপহরণ করা হয়েছে। এরপরই আমার চোখ বেঁধে দেয়। প্রায় আধঘণ্টা পর এমন একটি জায়গায় নিয়ে যায় যেখানে সাত-আটজন গুণ্ডা দাঁড়িয়ে ছিল। ২০ লাখ টাকা দাবি করে। কিন্তু, আমি বলেছিলাম ১০ লাখের বেশি দিতে পারব না।'
সুনীল পাল আরও বলেন, 'অবশেষ ১০ লাখে রাজি হয়। আমি পরিচিত একজনের মারফৎ টাকা ট্রান্সফার করি। যখন ওই অ্যাকাউন্টে সাড়ে সাত লাখ ঢুকল তখন আমাকে ছাড়ল। ঘড়িতে তখন সন্ধ্যা সাড়ে ছ'টা। সব শেষে যখন আমাকে ফিরতে দেওয়া হল তখন চোখের বাঁধনটা খুলল।'
অভিনেতা মুম্বই ফিরে পুলিশকে সত্যি ঘটনাটা জানান। মিরুটের কাছে তাঁকে নামিয়ে দেওয়া হয়। অপহরণকারীরা বিমানের টিকিট বুকিংয়ের জনম্য সুনীল পালকে ২০ হাজার টাকাও দেন। কমেডিয়ান অপহরণের কথা বলতে গিয়ে এটাও বলেন, ওরা অপহরণকারী হলেও মানুষ হিসেবে খারাপ নয়।
পাবলিসিটি স্ট্যান্ট প্রসঙ্গে সুনীলের মত, 'যদি ওটা পাবলিসিটি স্ট্যান্টই হত তাহলে প্রকৃত ঘটনা বলার তো কোনও প্রয়োজনই ছিল না। আমি তো আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধুমহলে টাকার জন্য ফোন করেছিলাম। পরিবারকে তখনই কিছু জানাতে বারণ করেছিলাম। এক বন্ধুর থেকে টাকা নিয়েছিলাম। আমি নির্দিষ্ট সময় বাড়ি ফিরছিলাম না বলে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে'।