নৈহাটিবাসীর সন্দেহ ছিল, বাবা বলেন পড়াশোনা শিখেছ কেন? জীবন প্রসঙ্গে অকপট 'জগদ্ধাত্রী'র প্রিয়া

টেলিভিশনে দীর্ঘদিন অভিনয় করা কিন্তু মোটেই সহজ কথা না। একসঙ্গে দীর্ঘ ১২-১৩ বছর ধরে দর্শকদের মনোরঞ্জন করা নেহাতই সহজ না। এমনই একজন হলেন জগদ্ধাত্রী ধারাবাহিকের দিব্যা সেন। অর্থাৎ প্রিয়া পাল।

নৈহাটির মেয়ে প্রিয়া যে একদিন, অভিনয়ের মাধ্যমেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন একথা বিশ্বাস করেননি কেউই। এমনকি তাঁর বাবা নিজেও। কিন্তু লড়াই ছিল সাংঘাতিক। সঙ্গ দিয়েছিলেন তাঁর মা। জি বাংলার এক শোয়ে এসে তিনি বলেন, "একটা সময় গোটা নৈহাটির মানুষ যেন বিশ্বাস করতে পারেনি আমি এটা করতে পারি। এমনকি আমার বাবাও। আমি এখান থেকে ইন্ডাস্ট্রিতে গিয়ে নাম করব, এটা যেন ভাবনাতীত ছিল। কিন্তু, জেদ চেপে গিয়েছিল আমারও।"

আরও পড়ুন - ১২০ কোটির রফায় ‘না’, বাবা শাহরুখকে সিরিজ থেকে বাদ দিলেন আরিয়ান!

প্রিয়া জানান, প্ল্যান ছিল এমনই যে করে দেখিয়ে দেবেন। সকলকে ভুল প্রমাণ করাই ছিল তাঁর লক্ষ্য। একটা সময় নিজের পরিচিতি পেতে টানা কাজ করেছিলেন তিনি। একদিনের ছুটি পর্যন্ত নেন নি। ৮-৯ বছর শুধুই কাজ করে গিয়েছিলেন। তারপর হঠাৎ করেই ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যানিং করেন। সেদিন যখন, লন্ডন ঘুরতে যাওয়ার চিন্তা ভাবনা করছেন, বিরাট ভয় পেয়েছিলেন তিনি। এমনকি, তাঁর বাবা এও বলেছিলেন, "পড়াশোনা শিখেছ কী করতে যদি একা ঘুরতেই না যেতে পারো?"

জগদ্ধাত্রী সিরিয়ালে তাঁকে দিব্যা সেনের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে। একদম নেগেটিভ চরিত্রে তিনি অভিনয় করছেন। অভিনয় করবেন, রোজগার করবেন এ যেন ভাবতে পারেননি পরিবারের কেউই। শুধু মায়ের কথায়, এই জায়গায় আসতে ও অনেক কষ্ট করেছে। অনেকটা লড়াই করেছে।