Advertisment

জমানো টাকা তুলে দিতে হয়েছিল বাবার হাতে, অভাবের সংসারে দায়িত্ব শিখেছিলেন শ্রীতমা

অভাবেও হাসিমুখে থাকতেন তিনি...বাবা-মায়ের মসিহা হয়ে উঠেছিলেন

author-image
IE Bangla Entertainment Desk
New Update
tv actress shritama mitra on her tough life

শ্রীতমার কথা...

টেলিভিশনের সূত্রে, অনেক অভিনেত্রীই মানুষের কাছের হয়ে ওঠেন। কারণ, প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে মানুষকে মনোরঞ্জন করতে করতে তাঁরা পরিবারের একজন হিসেবেই বিবেচিত হন। আবার, কোনসময় ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্রের তুলনায় বেশি জনপ্রিয়তা পায় পার্শ্ব চরিত্র। ঠিক তেমনই একটা নাম শ্রীতমা মিত্র।

Advertisment

অভিনেত্রী তাঁর বর্তমান ধারাবাহিকের জন্য বেশ চর্চায়। তাঁর থেকেও শিরোনামে অভিনেতা ঋত্বিক মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে সম্পর্কের গুঞ্জনে। তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্ব নাকি গাঢ় প্রেম.. সেকথা নিজে মুখে স্বীকার না করলেও অনেকেই দুইয়ে দুইয়ে চার করে ফেলেছেন। তবে, শুরুর সময়টা মোটেই তাঁর কাছে সুখকর ছিল না। ছোটবেলা থেকে বেশ অভাবেই বড় হয়েছেন। নিজেকে সাবলম্বী করে তুলতেই লড়াই করেছেন।

সেকথাই তিনি জানিয়েছেন, 'ঘরে ঘরে জি বাংলা'র পর্দায়। শ্রীতমা এবং তাঁর পরিবার, হাজির হয়েছিলেন এই অনুষ্ঠানে। সেখানেই অভাবের দিনগুলোর কথা মনে করলেন, তাঁর সঙ্গে নিজের জেদের কথাও জানালেন তিনি। ছোট থেকেই এক তরকারি, ডাল ভাত খেয়ে জীবন কাটিয়েছেন। অভিনেত্রী বলেন...

হত না, একটা যে অনেকদিন ধরে হয়তো একরকম একটা খাচ্ছি। বাচ্চাদের তো মাছ মাংস খেতে ইচ্ছে হয়। আমার আর দাদার তাই হতো। এবার, ধরো হয়তো বললাম আমি বাবাকে যে মাছ আনবে? মাছ খাবো। বাবা, তখন মায়ের সঙ্গে আলোচনা করতে যেত, যে আনবে কিনা। আমি কি করতাম জানো? আমি অল্প অল্প করে টাকা জমিয়ে রাখতাম পিগি ব্যাংকে। তো, বাবাকে একদিন বললাম.. "বাবা, শোনো। আমি আজকে তোমাদের মাছ খাওয়াবো। শুনেই তো বাবা না না করল। যে কেন? তুই বাচ্চা মেয়ে। জমিয়ে রেখেছিস। কিন্তু, আমি জেদ ধরেছিলাম। সবাইকে খাওয়ালাম। এই ছোট ছোট আনন্দ গুলো ভাল লাগে খুব।"

আর পাঁচটা মধ্যবিত্ত পরিবারের গল্পও বেশ সমান। ছোট থেকে কষ্ট করে যারা বড় হন তাঁদের কাছে স্বপ্নগুলো এভাবেই পূরণ হয়। শ্রীতমা টেলিভিশনে বেশ জনপ্রিয় নাম। কিছুদিন আগেই ঋত্বিকের সঙ্গে একটি পারিবারিক পার্টিতে তাঁকে দেখা যেতেই বেশিরভাগ মন্তব্য করেন, আর বেশি দেরি নেই। সানাই বাজল বলে।

tollywood Entertainment News
Advertisment