বছর পেরলেও নিজের পান্তা ভাতের কুন্ডুকে চিনতে ভুল হয়নি মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তীর। সেই পুঁচকে দীপান্বিতা এখন আর ছোট নেই। সে রীতিমতো নৃত্যশিল্পী হিসেবে পারদর্শী হয়ে উঠেছে। জি বাংলার মঞ্চে তাঁর দেখা পেতেই চিনে ফেললেন এমজি। তারপর?
Advertisment
ছোট থেকেই দীপান্বিতার এক্সপ্রেশন দেখে মুগ্ধ গোটা বাংলা। এখনও কিন্তু সেই অঙ্গভঙ্গিতে একটুও বদল আসেনি। বরং দক্ষতা অনেকটাই বেড়েছে। ১২ বছর পরেও সেই গোলগাল চেহারা, আদো আদো ভাব, মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তীর বুঝতে নাকি রইল না এ আর কেউ না বরং দীপান্বিতা। নিজের চোখকে যেন নিজেই বিশ্বাস করতে পারছেন না মিঠুন চক্রবর্তী। সোজা জিজ্ঞেস করে বসলেন, "ওহ মাই গড! পান্তা ভাতের কুন্ডু তো"? জবাব এল, 'হ্যাঁ'।
এদিকে, স্টেজে তখন নিজের নাচ প্রদর্শনে ব্যস্ত দীপান্বিতা। মুগ্ধ হয়ে দেখছেন সকলের মহাগুরু। মন্ত্রমুগ্ধ, বিচারকদের সকলেই। মৌনী থেকে শুভশ্রী - আনন্দে আত্মহারা বিচারকরা। নাচ শেষে, নিজের আসন ছেড়ে উঠে আসেন মিঠুন। জড়িয়ে ধরেন দীপান্বিতাকে। বলেন, "ওর জন্য আজ এত গর্ব হচ্ছে...একটা জোরে হাততালি হোক"! তবে এসবের মাঝেই, আবারও নিজের চিৎকারের জন্য ট্রোল শুভশ্রী। তাঁর চিৎকারের চোটে মাথা খারাপ সকলের।
দর্শকদের বেশিরভাগই ভীষণ চটেছেন শুভশ্রীর হাসির কারণে। তাঁদের কথায়, একেই নাচের শো কিন্তু বিচারক আসনে সবাই অভিনেত্রী। আবার কেউ বললেন, "শুভশ্রীর হাসির চোটে কানের পর্দা ফেটে গেল"। এদিকে, বড় দীপান্বিতাকে দেখেও সকলেই স্তম্ভিত। সময় এত তাড়াতাড়ি কেটে যায়, যেন বিশ্বাসই হচ্ছে না অনেকের।
উল্লেখ্য, টানা দশবছর পর আবারও ড্যান্স বাংলা ড্যান্স এর পর্দায় মহাগুরু হিসেবে ফিরেছেন মিঠুন। বিচারকের আসনে তিন সুন্দরী। সঞ্চালক হিসেবে থাকছেন, অঙ্কুশ হাজরা। এবারের ড্যান্স বাংলা ড্যান্স নিয়ে সকলেই বেশ উত্তেজিত। তবে, দীপান্বিতার প্রত্যাবর্তন মিশ্র প্রতিক্রিয়া ফেলেছে দর্শকদের মধ্যে।