ছেলে-মেয়েকে মানুষ করতে গিয়ে কত কিছুই না করতে হয় একজন মা কে। ঠিক এমনিই পরিচয় পাওয়া গেল দিদি নম্বর ওয়ানের মঞ্চে। বাস্তবের যোদ্ধারা তাঁদের নিজের জীবন সংগ্রামের কথা আগেও বলেছেন, তবে এইক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ঘটনা যেন অন্য! এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে এক মায়ের রুজি রোজগার।
Advertisment
দিদি নম্বর ওয়ানের মঞ্চে এসেই নিজের জীবন নিয়ে মুখ খোলেন এক প্রতিযোগী। আদতেই এক যোদ্ধা তিনি। বারো বছর বয়সে বিয়ে হয় তাঁর। ১৭ বছর বয়সের মধ্যেই দুই সন্তানের মা। কিন্তু হাজার চেষ্টার পরেও সংসার করা হয়ে ওঠেনি। দুই ছেলেমেয়ের জীবনের তাগিদেই শুরু করেন এক ভিন্ন ধরনের কাজ। এগ ডোনার হিসেবে কাজ শুরু করেন সেই মহিলা। চোখের জলেই জানালেন নিজের অনুভূতির কথা। মহিলা বলেন, "আমাদের একটু সাহায্যের কারণে যখন অন্য মেয়েরা মাতৃত্বের সুখ আস্বাদান করতে পারে তখন সেই আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়। উনারা এসে হাত ধরে নিজেদের সুখ ব্যাক্ত করেন। আমাদের ভালবাসা জানান, সত্যিই ভীষণ আনন্দ হয়!"
এদিকে বাংলা টেলিভিশনের পর্দায় সকলের সম্মুখে এই কথা বলার জেরেই অনেকেই সেই মহিলাকে নিশানা করতে ছাড়েননি। ডিম্বাণুদাত্রীর নাম প্রকাশ্যে আনা কী আসলেই বৈধ? রোষের মুখে রচনার শো! চ্যানেল কর্তৃপক্ষ এই ঘটনাকে প্রকাশ্যে কীভাবে আনলেন, এই নিয়েও রয়েছে অসন্তোষ। কেউ বললেন, এসব কথা সকলের সামনে বলা আদৌ ঠিক? আবার কেউ কেউ বললেন এই বিষয় গোপন থাকাই ভাল। তবে স্রোতের বিপরীতে গিয়ে কেউ কেউ তাঁর এই কাজকে কুর্নিশ জানালেন। মায়েদের মুখে হাসি ফোটাচ্ছেন তিনি- এই কাজের কোনও তুলনা হয় না।
নিজে একজন মা, তাই অন্য মায়ের যন্ত্রণা বুঝতে পারেন তিনি। তাঁদের মুখে হাসি ফোটাতে পেরেই খুশি থাকেন সকলে। যখন এই কাজ শুরু করেছিলেন তখন একরকম পেটের দায়ই ছিল, তবে এখন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনেকটা সাবলীল হয়েছেন। অনুষ্ঠানের মঞ্চেই যথেষ্ট অবাক হন রচনা। সেই মহিলাকে জিজ্ঞেসও করেন, কোনও শারীরিক অসুবিধা হয় না এতে? তবে সেই প্রতিযোগীর সাফ উত্তর, একেবারেই না। নানারকম সুষ্ঠু পরিষেবা প্রদান করা হয়। তাঁদের যথেষ্ট যত্ন করা হয়।