এযাবৎকাল বলিউডকে কখনও 'বুলিউড' আবার কখনও বা 'নোংরা নর্দমা' আখ্যা দিয়ে একাধিকবার বিঁধেছেন কঙ্গনা রানাউত (Kangana Ranaut)। 'থালাইভি' মুক্তির আগে ফের একবার বিস্ফোরক মন্তব্য বলিউডের কন্ট্রোভার্সি ক্যুইনের। অভিনেত্রীর কথায়, "বিষাক্ত বলিউডের (Bollywood) চেয়ে তামিল ইন্ডাস্ট্রি ঢের ভাল। সহানুভূতিহীন, ভালবাসাহীন বলিউডে প্রবেশ করা চীনের প্রাচীর টপকানোর থেকে কোনও অংশে কম কঠিন নয়।"
কোন প্রেক্ষিতে কঙ্গনার এমন মন্তব্য? আসলে আগামী শুক্রবার মুক্তি পাচ্ছে জয়ললিতার বায়োপিক 'থালাইভি' (Thalaivii), যে সিনেমায় দক্ষিণী অভিনেত্রী তথা ডাকসাইটে মহিলা রাজনীতিক আম্মার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন কঙ্গনা। স্বাভাবিকভাবেই দক্ষিণী দর্শকদের আবেগের কথাও মাথায় রাখতে হচ্ছে সিনেমার প্রযোজক তথা অভিনেত্রীকে। আর সেই প্রেক্ষিতেই তামিল সিনে ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে বলিউডের তুলনা টেনে ফের বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন কন্ট্রোভার্সি ক্যুইন।
<আরও পড়ুন: চরম দারিদ্র্যের শিকার! বাবা রাকেশের জন্য মাদুরেও শুয়েছেন হৃতিক রোশন>
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রীর মন্তব্য, "আঞ্চলিক সিনে ইন্ডাস্ট্রিতে অন্তত একটা সহানুভূতি থাকে। হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির ব্যাপারটা আলাদা। আমাদের মতো অনেকেই সেখানে পরিযায়ী। এত বৈচিত্র্য সেখানে। কখনও কখনও আবার একটা চাপা মানসিক উত্তেজনাও কাজ করে। সবাই একে-অপরকে টেনে নিচে নামানোর চেষ্টা করছে। বলিউড এতটাই বিষাক্ত জায়গা হয়ে গিয়েছে যে, কেউ কারও খুশি দেখতে পারে না।"
এখানেই থামেননি কঙ্গনা। তাঁর আরও মন্তব্য, "বলিউডে কেউ কারও প্রতি সহানুভূতিশীল নন। কোনও ভালবাসাও নেই। কিন্তু আঞ্চলিক সিনেইন্ডাস্ট্রিতে সবাই একে-অপরকে সাহায্য করে। আর এই জন্যই এখানকার এত উন্নতি। বলিউডে যখন আমি প্রথম পা রাখি, তখন কোনও কাস্টিং এজেন্ট কিংবা ওটিটি লঞ্চার ছিল না। খুব কঠিন সময় কাটিয়েছি। হয় করো কিংবা মরো- এরকম পরিস্থিতি হয়েছিল আমার। তাই বলিউডের ওই চীনের প্রাচীর টপকানো ছাড়া আমার কাছে আর কোনও উপায়ও ছিল না।" এবার প্রশ্ন উঠেছে, 'থালাইভি' মুক্তির আগে দক্ষিণী আবেগ টানতেই কি অভিনেত্রীর নয়া স্ট্র্যাটেজি এটা?
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন