রিলিজ করার দু' দিনের মধ্যেই শোরগোল ফেলে দিয়েছে 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস'। বিতর্ক-সমালোচনা পেরিয়ে মুক্তির ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই বক্স অফিসে ভাল ব্যবসা করে ফেলেছে। সপ্তাহান্তের রিপোর্ট বলছে, 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস'-এর মোট আয় ২৭.১৫ কোটি টাকা। অনুপম খের, মিঠুন চক্রবর্তী অভিনীত এই সিনেমাকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন অক্ষয় কুমার, কঙ্গনা রানাউতরা। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পরিচালক বিবেকের এই বাধভাঙা সাফল্যের মাঝেই তিন বিজেপি শাসিত রাজ্যে 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস'-এর টিকিটকে করমুক্ত করা হল।
গুজরাত, হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীরা সম্প্রতি এই সিনেমার টিকিটকে করমুক্ত করার কথা ঘোষণা করেছেন। শনিবারই হরিয়ানা সরকারে তরফে জানানো হয়েছে যে, প্রেক্ষাগৃহে 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস' দেখতে এলে টিকিটে অতিরিক্ত জিএসটি লাগবে না। রবিবার গুজরাত সরকারের তরফেও টুইটে এই একই ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্রভাই প্যাটেল। আর তার ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানও টুইটে জানান, "কাশ্মীরি হিন্দুদের ওপর হওয়া অত্যাচার নিয়ে এই সিনেমা, সবার দেখা উচিত। আর তাই মধ্যপ্রদেশেও টিকিট করমুক্ত করা হল।" সংশ্লিষ্ট তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে পাল্টা ধন্যবাদ জানান পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীও।
অনুপম-মিঠুন ছাড়াও 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস'-এ গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন দর্শন কুমার, পল্লবী জোশী। যৌথভাবে গল্প লিখেছেন সৌরভ এম পাণ্ডে এবং পরিচালক অগ্নিহোত্রী খোদ।
প্রসঙ্গত, নয়ের দশকে কাশ্মীর ভূ-খণ্ড থেকে কয়েক লক্ষ কাশ্মীরি পণ্ডিতদের তাড়িয়ে দেয় জঙ্গিরা। হিন্দুদের রাজ্য ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য লাগাতার হুমকি দেওয়া হয়। ধর্ষণ-গণহত্যার জেরে উপত্যকা থেকে দলে দলে পালিয়ে আসে হিন্দুরা। পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১৯৯০ সালে কাশ্মীরে প্রায় ৬ লক্ষ হিন্দু ছিল। কিন্তু ২০১৬ সালে সেই সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৩ হাজারে। কলহনের রাজতরঙ্গিনীর পটভূমি, একদা সংস্কৃতের পীঠস্থান কাশ্মীর পরিণত হয় জেহাদিদের গড়ে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের কথায়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ইহুদিদের ওপর নাৎসি বাহিনীর অত্যাচার থেকে কাশ্মিরী পণ্ডিতদের নিপীড়ন কোনও অংশে কম নয়। আজও সেই ভিটেতে ফিরতে পারেননি সেসব হিন্দুরা। আর কাশ্মিরী পণ্ডিতদের এমন দুর্দশা নিয়েই ছবি তৈরি করে ফেলেছেন বিবেক অগ্নিহোত্রী।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন