/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/11/Untitled-design-2021-11-07T174500.048.jpg)
ফাইল ছবি।
ছুটির দিনে বড়সড় বিড়ম্বনার মুখে অভিনেতা সাহেব ভট্টাচার্য। তাঁর গাড়ির লক ভেঙে চুরির অভিযোগে থানার দ্বারস্থ অভিনেতা। তিনি ভবানীপুর থানাকে জানিয়েছেন, এসপি মুখার্জি রোডের পার্কিং লটে গাড়ি লক করে, কাঁচ তুলে জিমে গিয়েছিলেন। ফিরে এসে দেখেন গাড়ি থেকে খোওয়া গিয়েছে আধার কার্ড, নগদ-সহ কিছু মূল্যবান সামগ্রি। কীভাবে গাড়ির লক ভেঙে ভবানীপুরের মতো মতো জনবহুল জায়গা থেকে এই চুরি? খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, রোজকার মতো রবিবার সকালেও জিমে যান কিংবদন্তী ফুটবলার সুব্রত ভট্টাচার্যের ছেলে সাহেব। ভবানীপুর থানার সামনেই সেই জিমে এদিন সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ শরীরচর্চা করতে যান তিনি। থানার সামনেই তাঁর লাল রঙের গাড়ি পার্ক করা ছিল। ঘণ্টাখানেক বাদে তিনি জিম থেকে বেরিয়ে গাড়ি উঠতে গিয়ে তাঁর মাথায় হাত পড়ে। তাঁর ওয়ালেট গায়েব, সেই সঙ্গে ওয়ালেটে থাকা এটিএম কার্ড, আধার কার্ড-সহ আরও গুরুত্বপূর্ণ নথিও নেই। এরপরই ভবানীপুর থানার দ্বারস্থ হন। পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।
সংবাদমাধ্যমকে সাহেব বলেছেন, "রোজই আমি এখানে জিম করতে আসি। গাড়িটা থানার সামনেই পার্ক করি। আজও করেছিলাম। কিন্তু আজ গাড়িতে ওঠার সময় দেখি, গাড়ির লক খোলা। ওয়ালেট গাড়ির ভিতরে রেখেছিলাম। সেটাও আর নেই। ওর মধ্যে যাবতীয় কার্ড-ক্যাশ রাখা ছিল। আমার আধার কার্ড-ভোটার কার্ডও ছিল। কীভাবে গাড়ির লক খুলে এরকম ভাবে চুরি হল, কে বা কারাই একাজ করল বুঝতে পারছি না। পুলিশকে গোটা বিষয়টা জানিয়েছি। দেখা যাক, কী হয়।"
My wallet got stolen from my car in Hazra. I was parked 100meters away from Bhowanipore Police station. Please provide some help @KolkataPolice@CPKolkata
— Shaheb Bhattacherjee (@shaheb17) November 7, 2021
আরও পড়ুন ‘বাংলাদেশের হিন্দুদের জন্য প্রতিবাদ কোথায়’, মোদী-মমতাকে চিঠি লিখে ট্রোলড প্রসেনজিৎ
পুলিশের তদন্তকারীদের ধারণা, যে বা যারা একাজ করেছে তারা সাহেবকে আগে থেকেই ফলো করছিল। সাহেব রোজ এই জিমে আসেন, থানার সামনে গাড়ি পার্ক করেন সেটা তারা জানত। তাই আজ সুযোগ বুঝে গাড়ির লক খুলে ওয়ালেট চুরি করেছে। পুলিশ থানার সামনের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চোরদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে। শীঘ্রই চোর ধরা পড়বে বলে আশ্বাস পুলিশের।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন