Bollywood: তিনি পতৌদির নবাব হলেও, উত্তরাধিকার সূত্রে কিছুই পায়নি। পতৌদি প্যালেসও তাঁকে অর্জন করতে হয়েছে। সম্প্রতি মিড ডে-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই দাবি করেন সইফ আলি খান। সেই সাক্ষাৎকারে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, ‘আপনি কি পরিশ্রম করে অভিনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন।‘ জবাবে তিনি বলেছেন, ‘আপনি প্রচলিত ধারণার বাইরে বেরোতে পারবেন না। সেটা সত্যি না হলেও আপনাকে মেনে নিতে হবে। কিছু মানুষের এমন একটা ধারণা তৈরি হয়ে গিয়েছে। ‘
পাশাপাশি তাঁর মন্তব্য, ‘বাবার মৃত্যুর পর পতৌদি প্যালেস ভাড়ায় দেওয়া হয়েছিল। নিমরান হোটেল সেই প্যালেস লিজ পেয়েছিল। সেই হোটেলের দু’জনের মধ্যে এক মালিকের মৃত্যুর পর আমার কাছে প্রস্তাব এসেছিল। প্যালেস আমি ফিরে পেতে চাই কিনা? আমি বলেছিলাম হ্যাঁ, চাই। তারপর পরিচালন পর্ষদ নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, অর্থের বিনিময়ে সেই প্যালেস আমাকে দেওয়া হবে।‘
সইফ আলি খানের মন্তব্য, ‘ছবির পারিশ্রমিক থেকে সেই টাকা দিয়ে আমি প্যালেস ফিরে পেয়েছিলাম। একটা সময় আসে যখন তোমাকে অতীত পিছু টানে। অন্তত আমাদের পরিবারের ক্ষেত্রে অতীত ভুলতে পারিনি। হয়তো রাজকীয় বেড়ে ওঠা কিন্তু উত্তরাধিকার সূত্রে কিছুই পাইনি আমরা।‘
সম্প্রতি সইফ আলি খান এবং রানী মুখার্জি অভিনীত বান্টি এবং বাবলি মুক্তি পেয়েছে। মোটের উপর ভালোই সাড়া পেয়েছে সেই ছবি।
ছোটবেলা থেকেই ফিল্মি পরিবারে মানুষ পুঁচকে নবাব তৈমুর। অনেকদিন ধরেই বাবা মাকে রুপোলি পর্দায় সে কাজ করতে দেখে। যত বড় হচ্ছে ক্রমশই যেন জিজ্ঞাস্য বাড়ছে ছোট নবাবের। বাবা সইফের নতুন ছবি বান্টি বাবলি-২ নিয়ে তার জিজ্ঞাস্য থামছেই না। আর সমস্ত বিষয় দারুণ উপভোগ করছেন সইফ।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তৈমুর এখন বেশ বুঝদার হয়ে উঠছে। মন দিয়েই বসে সিনেমা দেখতে বেশ আগ্রহী সে। শুধু তাই নয় বাবাকে অভিনীত চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন করতেও খামতি থাকছে না তার। অবশেষে জিজ্ঞেসই করে বসে, ‘তুমি হিরো নাকি ভিলেন? তুমি কি এই সিনেমায় মানুষ খুন করবে ? মানুষের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করবে না তো?’ – হাজার প্রশ্নের ভিড় তার ছোট্ট মাথায়। আসলেই কেমন চরিত্রে বাবা অভিনয় করছে সেই নিয়ে বেজায় উৎসাহিত এবং কৌতূহলী তৈমুর।
বাধ্য হয়েই উত্তর দেন সইফ। ছেলেকে বুঝিয়েই বলেন, ‘এটি খুব মিষ্টি চরিত্র, কারওর খারাপ চান না, সবাইকেই ভালবাসেন, মানুষ মেরে ফেলার তো কোনও প্রশ্নই নেই। তবে হ্যাঁ একটু আধটু মানুষকে ঠকান এই আরকি’। এই কথা শুনেই বেশ গভীর চিন্তায় পড়ে যান ছোট নবাব। ব্যাস আর কি! ওমনি জিজ্ঞেস করে বসেন – ঠকানো মানে কি? এবার একেবারেই বাকরুদ্ধ সইফ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন