পরিচালক তনুজা চন্দ্রর ছবি 'আ মনসুন ডেট'-এ ট্রান্সসেক্সস্যুয়াল চরিত্রে দেখা যেতে চলেছে কঙ্কণা সেন শর্মাকে। এই ছোট ছবি একটি মহিলাকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে যিনি তার সবথেকে ব্যক্তিগত তথ্য প্রেমিকের কাছে জানায়। ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন গজল ধালিওয়াল।
২০ তম মামি ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে দেখানো হয়েছে ইরস নাও প্রযোজিত এই ছবি। ছবি দেখানোর পর প্রশ্নোত্তর পর্বে কঙ্কণা সেনশর্মা জানালেন কীভাবে তিনি ট্রান্সসেক্সস্যুয়াল একটি চরিত্রের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেছেন। তিনি বলেন, ''একজন ট্রান্সসেক্সুয়্যাল মানুষ যদি এই চরিত্রে অভিনয় করতেন তাহলে সেটাই আদর্শ হত। কোনও এলজিবিটিকিউ যদি এ কাজ করতেন তবে খুব ভাল হত। দুভার্গ্যবশত তা হয়নি''।
আরও পড়ুন, মামির প্রথম দিন নাসিরউদ্দিন থেকে স্বরা ভাস্কর, চাঁদের হাট রেড কার্পেটে
কঙ্কণা বলেছেন, ''আমরা যদি এভাবেই গল্প বলা শুরু করি তাহলে খুব শিগগিরই এই ধরনের মানুষেরাও অভিনয়ে আসতে পারেন। সব মানুষই হৃদয়ভঙ্গের বেদনায় ভোগেন, একাকীত্বের সঙ্গে লড়াই করেন। কিছু মানুষের বেদনা ও একাকীত্ব একটু বেশি নজরে পড়ে। আমাদের আরও বেশি করে এই কাহিনিগুলো বলা দরকার যাতে ভবিষ্যতে আমরা তাঁদের নিয়ে চলতে পারি''।
তনুজা চন্দ্রাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে তিনি এ চরিত্রে কোনও ট্রানসসেক্সুয়াল মানুষকে নেওয়ার কথা ভেবেছিলেন কি না। উত্তরে পরিচালক বলেন, ‘‘তেমন অভিনেতার সংখ্যা খুবই কম। এরকম ছবি হতে থাকলে আসা করা যায় যে এ সংখ্যাটা আরও বাড়বে। একজন পরিচালক ভাল অভিনেতাকে দিয়েই অভিনয় করাতে চান।’’
তনুজা চন্দ্র আরও বলেন, ''আমাকে খুব কম বাজেটে ছবি বানাতে হয়েছিল। ফলে আমাকে এমন অভিনেতাই নিতে হত যে আমার পক্ষে সহায়ক হবে। আমাকে একটা দুর্দান্ত গল্প লিখতে হবে এবং এমন লোকজনকে সঙ্গে পেতে হবে যারা এ প্রজেক্টকে প্যাশন হিসেবে নেবে।’’
প্রশ্নোত্তরপর্বের সময়ে চিত্রনাট্যকার গজল ধালিওয়াল জানান, এ গল্পের অনুপ্রেরণা তিনি নিজেই, কারণ তিনিও একজন ট্রান্সসেকসুয়াল।
করিব করিব সিঙ্গেলের পর এটা তনুজা ও গজলের দ্বিতীয় কাজ। লিপস্টিক আন্ডার মাই বুরখা ও ওয়াজির ছবির সংলাপও লিখেছেন গজল।
Read the full story in English